অনলাইন ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ: আজ ২৯ মে, আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দিবসটি বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব পুরুষ-নারীকে শান্তি রক্ষার লক্ষ্যে সর্বোৎকৃষ্ট পেশাদারি মনোভাব বজায়, কর্তব্যপরায়ণতা, নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাদের আত্মত্যাগের ঘটনাকে গভীর কৃতজ্ঞতা ও যথোচিত সম্মানপূর্বক স্মরণ করা হয় এ দিনে। ২০০৩ সাল থেকে এ দিনটি পালন করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পুনরায় পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে এ সমর্থন জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমাদের শান্তিরক্ষী সদস্যরা আগামী দিনগুলোতেও বিশ্বশান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হবে- এ প্রত্যাশা করি।’
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, শান্তিরক্ষী সদস্যরা তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার দ্বারা সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবেন।’
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত সব বাংলাদেশি সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘সেই সাথে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার শান্তি ও মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী পাঠানোতে বাংলাদেশ বর্তমানে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০ জনের অধিক শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন, যাদের মধ্যে গত বছর মারা গেছেন ৯৮ জন।
শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনী ১৯৮৮ সাল থেকে জাতিসংঘের অধীনে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।