বিশেষ প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসে আসা রেমিট্যান্সের মতো রপ্তানিতেও রেকর্ড হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ ভার্চুয়াল সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্পদ অনেক বেশি। সেগুলোকে আমরা কখনো মূল অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করতে পারিনি। মূল অর্থনীতিতে সেসব আমরা কম পেয়েছি। এখন আস্তে আস্তে সেগুলোকে মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এতে অর্থনীতির গতিশীলতা আরো বাড়বে।
তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্স যেভাবে ওপরের দিকে এগোচ্ছে, ঠিক তেমনভাবে রেকর্ড সৃষ্টি হবে জুলাই-আগস্টের রপ্তানি বাণিজ্যে। আমি মনে করি, এটা অব্যাহত থাকবে। এ দেশের মানুষ আমাদের প্রাণশক্তি। তাদের কারণেই সব সম্ভব হবে। তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, তার ফল তারা পাচ্ছেন।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এসএমই উদ্যোক্তারা কোনো লোন পাচ্ছেন না। এতে সরকার বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ক্যাশ ট্রান্সফার। যাদের অ্যাক্যাউন্ট নেই, তাদের আমরা স্বীকার করি না বা করতে পারি না। এর ফলে যার টাকা পাওয়ার কথা তার হাতে গিয়ে টাকা পৌঁছায় না। আমরা এগুলো দূর করতে চাই।
তিনি বলেন, ‘আজকে যারা স্মল, একদিন তারা মিডিয়াম হবে, এরপর তারা লার্জ হবে, এটাই নিয়ম। আমি বলব, যাদের অ্যাক্যাউন্ট আছে এবং ব্যবসা করে, এটা প্রমাণ করে আবেদন করলে আমরা তাদের যতটা সহায়তার দরকার করব। তাদের সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আলাদা উইং আছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন, এর বাইরে কেউ থাকবে না। তিনি নিজেও এগুলো তদারকি করেন। ফলে এবার হইচই কম হয়েছে। সবাই সরাসরি সহায়তা পাচ্ছে।