এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কোভিড-১৯ সংকট: সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’। এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করতে চায় সরকার।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ ভাগে উন্নীত হয়েছে (বিবিএস এর সর্বশেষ তথ্য)। গত সময়ের চেয়ে এই হার বেড়েছে। ২০০৫ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় ছিল মাত্র ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
ইউনেস্কো’র উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস’ পালন করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার প্রতিবছর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে আসছে বাংলাদেশ।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পে (৬৪ জেলা) আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লক্ষ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান প্রদান করা হচ্ছে। এরইমধ্যে এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৪টি উপজেলায় শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪২ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদান করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর বছর মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আরো ২১ লক্ষ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দেয়ার কার্যক্রম চলমান আছে।
সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করবেন মো. জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন।