গত রোবরার রাজধানীর বনানীর ২৭ নম্বর রোডে এশিয়ান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। তারা হলো- গোলাম মাজেদ (৫০), নারায়ণ সরকার (৩৫), মো. মেহেদী (১৯), মো. ইমতিয়াজ (৩১) ও মো. এনায়েত উল্লাহ (৪০)।
সোমবার দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিসানুল হক সিটিজেন নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতারের সময় তাদের থেকে একাধিক ভুয়া নিয়োগপত্র ও প্রার্থীদের থেকে নেয়া বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, বিভিন্ন ভুয়া মেডিকেল সনদপত্র, ভুয়া ডাক্তারের সিলমোহর, প্রার্থীদের আবেদনপত্র ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে লোক নিয়োগের ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার উদ্ধার করা হয়।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এশিয়ান ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস প্রতিষ্ঠানের মালিক আশরাফ খান ওরফে সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। এরা বিভিন্ন অনলাইনে নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে কাজের জন্য নিয়োগ দেয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নেয়। এরপর নানা টালবাহানা করে ভুক্তভোগীদের একটি কোম্পানির ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারক চক্রের পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও চক্রের মূলহোতা আশরাফ খান পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। প্রতারক আশরাফ খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।