আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গের মৃত্যুর এক দিনের মাথায় দেশটিতে প্রচণ্ড রাজনৈতিক যুদ্ধ শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে সুপ্রিম কোর্টে রুথ ব্যাডারের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন মূলত তা নিয়েই এই রাজনৈতিক যুদ্ধ।
দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগে শুক্রবার মারা গেছেন বিচারপতি রুথ ব্যাডার গিন্সবার্গ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী বিচারপতি ছিলেন তিনি। লিঙ্গ সমতার দৃঢ় সমর্থক রুথ একজন গুরুত্বপূর্ণ নারীবাদী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উদারপন্থিদের শীর্ষ ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছিলেন।
রুথের মৃত্যুর ফলে একই মেয়াদে ট্রাম্প সুপ্রিম কোর্টে তৃতীয় বিচারপতি নিয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। এর ফলে দেশটির সর্বোচ্চ আদালতে রক্ষণশীলরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়বে। স্বভাবতই এতে সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা ডেমোক্রেটদের।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী জো বাইডেন জানিয়েছেন, নির্বাচনে যে প্রার্থী জিতবেন তাকেই রুথ ব্যাডারের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নির্ধারণ করতে দেওয়া উচিত।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘ভোটারদের উচিত প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়া এবং প্রেসিডেন্টের উচিত বিচারপতি গিন্সবার্গের উত্তরসূরি নির্বাচন করা।’
তবে রিপাবলিকানরা সাফ জানিয়েছেন, তারা মনে করেন ২০১৬ সালের নির্বাচনে যিনি নির্বাচিত হয়েছেন তাকেই গিন্সবার্গের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন তা নির্ধারণ করতে দেওয়া উচিত।
রাজনৈতিক উপদেষ্টা ডেভিড গারজেন বলেন, ‘এটি অনেক বড় যুদ্ধ হতে যাচ্ছে। এটি নির্বাচনের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।’