নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক আব্দুল মালেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার কারণে গাড়িচালক আব্দুল মালেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অবৈধ অস্ত্র, জাল নোট ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।
জানা যায়, রাজধানীর তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। একই এলাকায় ১২ কাঠার প্লট। এছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অধিদপ্তরের কর্মচারী হলেও মালেক ছিলেন প্রভাবশালী। তিনি অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ এবং বদলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার কথামতো কর্মকর্তারা কাজ না করায় তাদের নানাভাবে হয়রানি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। মালেক একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেও নিজে ব্যবহার করতেন পাজেরো গাড়ি।
এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যেসব চালকরা আছেন তাদের তেল চুরির টাকার বেশিরভাগই মালেকের পকেটে যেত। রাতারাতি বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক বনে যান তিনি। এসব টাকা দিয়ে মালেক ঢাকা শহরে একাধিক আলিশান বাড়ি, ফ্ল্যাট এমনকি ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা রেখেছেন।