জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে সর্বোচ্চ দর ৩৭৮ টাকায় শেয়ার লেনদেন শুরু করেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ার ৫০ শতাংশ বেড়ে প্রথম দিনে লেনদেন শুরু হয়।
বিএসইসির নিদর্শনা অনুযায়ী, আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন ৫০ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার দর বাড়তে বা কমতে পারবে না। সে অনুযায়ী ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার দর ৫০ শতাংশ বেড়ে ৩৭৮ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিটির দর বেড়ে সার্কিট ব্রেকারের সবোর্চ্চ সীমা স্পর্শ করেছে। তৃতীয় দিন কোম্পানির শেয়ারে ১০ শতাংশ বাড়তে বা কমতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে। বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড হিসেবেও ওয়ালটনের স্বীকৃতি রয়েছে।
জানা গেছে, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও আবেদন গত ৯ আগস্ট শুরু হয়ে ১৬ আগস্ট শেষ হয়। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত ৩৯ কোটি ৩ লাখ টাকার বিপরীতে ৩৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়ে ওয়ালটনের আইপিওতে। যা ৯ দশমিক ৫৯ গুণ বেশি।
ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে গত ৬ সেপ্টেম্বর ওয়ালটনের শেয়ার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এদিকে গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) লটারিতে বরাদ্দপ্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) মাধ্যমে জমা হয়েছে।
গত ২৩ জুন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭২৯তম কমিশন সভায় ওয়ালটনকে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেয়।
বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি ৯৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮০৫ টাকা এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৯ কোটি ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৯৫ টাকা সংগ্রহ করেছে। সংগৃহীত টাকা থেকে ৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যবসা সম্প্রসারণ, ৩৩ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ ও ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা আইপিও পরিচালনা বাবদ ব্যয় করা হবে।
এর আগে গত ২ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ওয়ালটনের নিলাম (বিডিং) শেষ হয়। দেশে সর্বপ্রথম ডাচ পদ্ধতিতে বিডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস নির্ধারণ করা হয় ৩১৫ টাকা।
আইন অনুসারে, কাট-অব প্রাইসের চেয়ে ১০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৮৩ টাকা দরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানির শেয়ার ইস্যু করার কথা ছিলো। তবে করোনা মহামারি, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা ও দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে কাট-অব প্রাইসের ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ কমে অর্থাৎ ২৫২ টাকা দরে শেয়ার ইস্যু করেছে ওয়ালটন হাই-টেক কর্তৃপক্ষ। ওয়ালটন হাই-টেকের ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।