সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে সাইফুল এবং ভোর ৫টার দিকে হবিগঞ্জের মাধবপুরের মনতলা থেকে অর্জুনকে গ্রেফতার করা হয়।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সাইফুরকে গ্রেফতার করে। রবিবার সকালে ছাতক খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাতক থানার এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।’
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অর্জুনকে গ্রেফতার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিল অর্জুন।
এ নিয়ে এই মামলার ছয় আসামির মধ্যে দুই জন গ্রেফতার হলো। এখনও পলাতক রয়েছে—সুনামগঞ্জ সদর থানার উমেদনগর গ্রামের তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদর থানার বাগুনীপাড়ার শাহ মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানাধীন বড়নগদীপুর (জাগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) এবং কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)।
এর আগে এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শাহপরান থানায় মামলা করেছিলেন ওই গৃহবধূর স্বামী।
ঘটনার পরই অভিযুক্তদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী এমসি কলেজে বেড়াতে যান। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ৫-৬ জন জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায় দম্পতিকে। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে ১৯ বছরের গৃহবধূকে ধর্ষণ করে তারা।