রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
নৈতিকতা ও মানবসেবাই রোটারির প্রকৃত শক্তি ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে: উত্তরা ও উত্তরখানে বিএনপির লিফলেট বিতরণে সমাবেশে আফাজ উদ্দিন ৩১ দফার ভিত্তিতে মানবিক রাষ্ট্র গঠনে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি এগিয়ে যাচ্ছে: এস এম জাহাঙ্গীর পিআর পদ্ধতি চায় যোগ্যতাহীনরা, জনগণ চায় ব্যালটে ভোট দিয়ে সরকার গঠন – আমিনুল হক শ্যামলীর ইইউবি ক্যাম্পাস বিক্রির অভিযোগে ভূয়া ট্রাস্টির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন জবাবদিহিমূলক সরকার গড়বে বিএনপি: আমিনুল হক হেলমেটে বলের আঘাতে মাঝপথেই টেস্ট শেষ বেনেটের সরকারবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল সার্বিয়া ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর অর্ডিন্যান্স’-এর খসড়া অনুমোদন নিরাপত্তার স্বার্থে আমার বৈধ অস্ত্র আছে: আসিফ মাহমুদ

সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত হবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩১ মে, ২০১৯
  • ৩৩৮ বার পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদক, সিটিজেন নিউজ: সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আজ ৩১ মে, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘তামাকে হয় ফুসফুস ক্ষয় : সুস্বাস্থ্য কাম্য, তামাক নয়’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘আইনের সুফল পেতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সেজন্য তামাকজাত দ্রব্যের মোড়ক ৫০ শতাংশ স্থানজুড়ে প্রচলিত সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী বৃদ্ধি করার পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ছাড়া তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি ও তামাকের কর কাঠামোকে সহজীকরণ করার বিষয়টি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারব, ইনশা-আল্লাহ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তামাকের ভয়াল থাবা থেকে সবাইকে রক্ষা করতে সরকার ২০১৩ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ও ২০১৫ সালে বিধি জারি করে।’

এসডিজি অর্জনকে গুরুত্ব দিয়ে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তামাক নিয়ন্ত্রণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয়মূল্যের ওপর শতকরা ১ ভাগ হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ এবং সারচার্জ হিসেবে সংগৃহীত অর্থ তামাক নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ ব্যবস্থাপনা নীতি ২০১৭’ অনুমোদন করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও উন্নয়নের অন্যতম অন্তরায়। বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুলসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য সেবনে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হয়।’

তিনি বলেন, ‘এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয়বহুল ও দীর্ঘমেয়াদি। এ জন্য তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার মাধ্যমে এসব রোগ প্রতিরোধকে বিশ্বব্যাপী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আন্তর্জাতিক তামাক নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল-এফসিটিসি প্রণয়ন করেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনের এজেন্ডাভুক্ত করে এফসিটিসির কার্যকর বাস্তবায়ন ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) প্রণয়ন করেছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com