জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক রশীদ হায়দার (৭৯) আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ফুলার রোডে মেয়ের বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রশীদ হায়দার।
তার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শাওন্তী হায়দার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রশীদ হায়দার বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে রশীদ হায়দারের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৪১ সালে পাবনা জেলার দোহাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জন্মগ্রহণ করেন রশীদ হায়দার। তার পুরো নাম শেখ ফয়সাল আবদুর রশীদ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন হায়দার। ১৯৫৯ সালে গোপালগঞ্জ ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৬১ সালে পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক হিসেবে তার কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম ১৩ খণ্ডে ‘স্মৃতি : ১৯৭১’। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবার খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের পরিবারের কোনো সদস্য বা কোনো ঘনিষ্ঠজনদের দিয়ে স্মৃতিকথা লিখিয়েছেন তিনি।
রশীদ হায়দার গল্প-উপন্যাস, নাটক, অনুবাদ, নিবন্ধ, স্মৃতিকথা ও সম্পাদনা সব মিলে ৭০ এর বেশি বই রচনা করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে চিম্বুকের নিচে আলোর প্রভা, বাংলাদেশের খেলাধুলা, মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচিত গল্প, শহীদ বুদ্ধিজীবী কোষাগ্রন্থ।
রশীদ হায়দার বাংলা একাডেমির পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন। ২০১৪ সালে একুশে পদক পান তিনি।