নিজস্ব প্রতিবেদক: খোরাকি ভাতাসহ ১১ দফা দাবিতে তিন দিন ধরে চলা পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নৌযান শ্রমিক-মালিকদের সঙ্গে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের বৈঠকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
বৈঠকে শ্রমিকদের খাদ্য ভাতা (খোরপোশ) বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছোট নৌযানের জন্য ১০০০ টাকা, ১০০০-১৫০০ টনের নৌযানের জন্য ১২০০ টাকা এবং ১৫০০ টনের বেশি ওজনের নৌযানের জন্য ১৫০০ হাজার টাকা খাদ্য ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
এ সময় সব নৌ শ্রমিকদের এখন থেকেই কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান শ্রমিক নেতারা।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পণ্যবাহী নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট আজকের মধ্যে সমাধান হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নৌশ্রমিকদের মূল দাবি হচ্ছে খোরাকি ভাতা। এটা তাদের ন্যায্য দাবি। গত এক বছরে তারা দুইবার ধর্মঘট করেছেন। আলোচনা করে এর সমাধান করেছি। আমরা নৌ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নৌ অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটি’র পক্ষ থেকে মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
বেতন-ভাতার সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) রাত থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান-শ্রমিকদের ধর্মঘট শুরু হয়। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আওতাধীন আটটি সংগঠন এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।