আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় চলমান সহিংসতায় এ পর্যন্ত ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৫১ জন সাধারণ জনগন এবং ১৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
পাশাপাশি তিনি আন্দোলনকারীদের ঘরে ফিরে যেতে বলেছেন। যদি তারা ঘরে ফিরে না যায় তাহলে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে সরাবেন না। কারণ, তিনি গুণ্ডাদের যা ইচ্ছা তাই করতে দিতে পারেন না। দেশকে অস্থিতিশীল করতে দিতে পারেন না।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছিল মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনকারীরা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলো তখন সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। সে সময় ঘটনাস্থলেই ১২ জনের মৃত্যু হয়। এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে হইচই হলেও প্রেসিডেন্ট বুহারি এই ঘটনা বিবৃতিতে উল্লেখ করেননি।
বুহারি বলেছেন, ‘অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। আর যেন না ঘটে। সরকার শান্তিপূর্ণ যেকোনো আন্দোলনের পাশে আছে। কিন্তু অরাজকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার যে আন্দোলন সেটার পক্ষে নেই। দুষ্কৃতিকারীরা যা ইচ্ছা তাই করবে আর সরকার সেনাবাহিনীকে রাস্তা থেকে তুলে নিবে, এমনটা তো হতে পারে না। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বিক্ষোভকারীদের হাতে নিহত হয়েছে। ৫১ জন সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। প্রাণহানি এখানেই বন্ধ হোক।’
প্রেসিডেন্টের এমন বিবৃতি আন্দোলনকারীদের যারপরনাই হতাশ করেছে। তার ওপর মঙ্গলবার রাতের গুলিবর্ষণের ঘটনা বিবৃতিতে উল্লেখ না করায় তারা আরো বিস্মিত হয়েছে। তারা দাবি করেছে সরকার ফলপ্রসু কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে এই আন্দোলন চলতেই থাকবে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো আরো বড় আন্দোলন দানা বেধে উঠবে।