নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্ধিপূজার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে মহাঅষ্টমী। আজ রবিবার (২৫ অক্টোবর) মহানবমী, দেবীকে প্রাণ ভরে দেখার দিন। কারণ পরদিন ভক্তদের কাঁদিয়ে কৈলাশে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী। এবার দেবী ফিরবেন গজে চড়ে, এসেছিলেন দোলায় করে। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সোমবার (২৬ অক্টোবর) শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা।
আজ সকাল ৯ টা ৫৭ মিনিটে বিহিত পূজার মাধ্যমে পালিত হবে মহানবমী। এই দিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ পরের দিন কেবল বিসর্জনের পর্ব। নবমীর রাতে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমী রাতে তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে।
করোনা মহামারির কারণে সংক্রমণ এড়াতে এ বছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বিধায় এবারের দুর্গোৎসবকে ‘দুর্গাপূজা’ হিসেবে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পূজামণ্ডপ। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আরতি প্রতিযোগিতা। জনসমাগমের কারণে স্বাস্থ্যবিধি যাতে ভঙ্গ না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই দুর্গাপূজায় আগেই প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া মন্দিরের আশেপাশে মেলাও নিষিদ্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, সারাদেশে এবার ৩০ হাজার ২১৩টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজার জন্য রাজধানীতে প্রস্তুত হয় ২৩২টি মণ্ডপ। বিগত বছর সারাদেশে মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ৩৯৮টি, যা তার আগের বছরের চাইতে ৪৮৩টি বেশি। আর এবার মণ্ডপ কমেছে গত বছরের চাইতে ১ হাজার ১৮৫টি।