নিউজ ডেস্ক: মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে সাজা হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে। যেহেতু বিচারাধীন বিষয়, তাই তার বিষয়ে কোর্টের আদেশ আমলে নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এমপি হাজী সেলিমপুত্র কাউন্সিলর এরফানের সাজার বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করি। মন্দ কাজ করলে তাকে শাস্তি পেতেই হবে। তিনি কোন দলের, কি পদবীধারী তা বিবেচনা করা হবে না।
এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, যে কাউন্সিলরের কথা আপনারা জানতে চাচ্ছেন, সে অভিযোগ আমাদের কাছে নথিভুক্ত হয়েছে এবং প্রসেস হচ্ছে। সম্ভবত আইন অনুযায়ী আজকেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
এদিকে সিটি করপোরেশন থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় সরকার বিভাগে গেলে আজই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
ডিএসসিসি সূত্র জানায়, সিটি করপোরেশন থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় সরকার বিভাগে দুপুরের মধ্যে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, জনপ্রতিনিধির সাজা হলে আইন অনুযায়ী প্রথমে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী তাকে (ইরফান) সাময়িক বরখাস্ত করা হবে।
রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে এরফানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেখানে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুজনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে কাউন্সিলর এরফান, দেহরক্ষী জাহিদ ও গাড়ির চালক মিজানুর রহমান ও এবি সিদ্দিকী দিপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত কাউন্সিলর এরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে এক বছর করে সাজা দিয়েছেন।