বিএনপি কোনো রকম সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। রোববার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় নেতারা এই মতামত প্রকাশ করেন।
সভায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনের দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ড ও গুমের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তুলে নিয়ে যাওয়া কয়েকজন নেতাকে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে জবানবন্দি দেওয়া এবং সিসিটিভি ফুটেজের বরাত দিয়ে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
বিএনপি নেতারা বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে বিএনপিকে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, দমন-নিপীড়ন করে তাদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার অপকৌশল। বিএনপি পুনরায় দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছে যে, বিএনপি কোনো রকম সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। এটা সরকারের অপকৌশল, নিজেদের এজেন্টদের দ্বারা এইসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ঘটিয়ে বিএনপিকে দোষারোপ করা, যা অতীতে তারা করেছে।‘
সভা থেকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার সব নেতাকর্মীর মুক্তি ও সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
কোভিড-১৯-এর প্রসঙ্গ তুলে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা দাবি করেন, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে দুটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা- ফাইজার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না। এ ছাড়া রাশিয়া ও চীন এর মধ্যেই তাদের নির্মিত ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এখনও পর্যন্ত কোনো স্বচ্ছ ধারণা জনগণের সামনে তুলে পারেনি।
গণমাধ্যমে ভ্যাকসিন সংগ্রহের বিষয়ে সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী যে সব তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে তা অত্যন্ত অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিমূলক বলে মন্তব্য করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
আগামী ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত ‘শহীদ মিলন দিবস’ যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকেরা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
রাতে বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।