জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক :কোন বাংলাদেশি নাগরিক যদি রোহিঙ্গা পরিচয়ে সৌদি আরব গিয়ে থাকে তবে তাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেওয়া হবে। আবার কোন রোহিঙ্গা যদি সে দেশে গিয়ে থাকে, তারা যদি বাংলাদেশ পাসপোর্টের নবায়নের আবেদন করেন তাও করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের এক অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত কিং সালমান রিলিফ সেন্টার বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্যে ৩০ খাদ্য ঝুড়ি বিতরণ প্রকল্প বাস্তবায়ন অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা দুই একদিনের নয়। যুগের পর যুগ ধরে রয়ে গেছে। আগেও রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসেছিল। সৌদি আরব রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছিল। বর্তমানে সৌদির একটি শহরে রোহিঙ্গারা একটা ক্যাম্প করে থাকছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নয়, তারা মিয়ানমারের অধিবাসী। আমরা সব সময় বলে আসছি তারা রোহিঙ্গা। আর আমরা যদি কাউকে পাসপোর্ট দিয়ে থাকি সেক্ষেত্রে অবশ্যই তা নবায়ন করে দেব। তবে মায়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশের নাগরিক কোন সময় হতে পারবে না।’
কিং সালমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক দরিদ্র সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০ হাজার ফুড বাস্কেট বিতরণ করেছে। যা দ্বারা হতদরিদ্র আশ্রিত ওসব মানুষ উপকৃত হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে করে ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধশালী দেশ হবে। বর্তমান সরকার সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। শুধু রোহিঙ্গারা নয়, এদেশের হতদরিদ্রদের বিভিন্নভাবে আশ্রায়ন প্রকল্প থেকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’
করোনা প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির থাবায় বিশ্বের অনেক বড় বড় অর্থশালী দেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই মন্দাভাব বাংলাদেশ তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছে। এ দেশে দারিদ্র্যের হারও কমেছে। বর্তমানে দেশে অতি দারিদ্র্যের হার শতকরা ১১ থেকে ১২ ভাগ এবং তা ক্রমহ্রাসমান এবং দরিদ্র মানুষের বেশিরভাগেই দেশের উপকূলীয় এলাকায় বাস করেন। এর মধ্যেও বাংলাদেশে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘসহ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে। আশা করি রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে সৌদি সরকার আমাদের পাশে থাকবে। এজন্য কিং সালমান খাদ্য সহায়তা দিয়ে যে সহযোগিতা করছেন তা আগামীতেও অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করছি।’
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘এসময় দেশে যারা হতদরিদ্র, গৃহহীন তাদের ঘর নির্মাণ, আর্থিকভাবে নানা ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর সুবিধা এবং গৃহহীন মানুষও পেয়েছে। আশা করছি এই সময়ের মধ্যে দেশে হতদরিদ্র বা গৃহহীন মানুষের সংখ্যা অনেকাংশে কমে আসবে।’