সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও সীমান্তে বিজিবি-চোরাকারবারী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক বিজিবি সদস্য।
শনিবার (০৬ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বনগাঁও সীমান্ত এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম কামাল হোসেন (৩৫)। জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে।
নিহত কামালের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বনগাঁও সীমন্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে গরু আনতেছিল একদল চোরাকারবারী। খবর পেয়ে বিজিবির বনগাঁও ক্যাম্পের সদস্যরা অন্তত ২৫টি গরু আটক করে। এ নিয়ে চোরাকারকারীদের সঙ্গে বিজিবির সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আশপাশের গ্রামের লোকজন ও চোরাকারবারীদের হামলায় বিজিবির ল্যান্স নায়েক লারমা আহত হন। তার ডান দা’র কোপ ও মাথায় বাঁশের আঘাত লাগে। পরে বিজিবি ল্যান্স নায়ের আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড গুলি করে। গুলিতে চোরাকারবারী কামাল হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়।
পরে দুপুর ২টায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে স্থানাস্তর করেন। পরে সিলেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কামাল হোসেন।
বিজিবির সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাকসুদুল আলম বলেন,‘শনিবার দুপুরে বনগাঁও সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ২৫-৩০টি গরু এনেছিল স্থানীয় চোরা কারবারীরা। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে বিজিবি গরুগুলো আটক করা চেষ্টা করলে চোরাকারবারীদের সঙ্গে ইসলামপুর গ্রামের কিছু লোকও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিজিবির উপর হামলা করে। চোরা কারবারীদের দা’য়ের কোপে একজন ল্যান্স নায়েক আহত হয়েছেন। এসময় আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে কামাল নামের এক চোরা কারবারী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সে মারা গেছে কি না সে বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’