তফসিল অনুযায়ী আগামি ৫ মে এফবিসিসিআই’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনের কারণে ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনটির নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বর্তমান কমিটির মেয়াদকাল আগামি ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড ও নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এফবিসিসিআই সহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব বাণিজ্য সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে সরকার।
মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ কভিড-১৯-এর বিস্তার রোধে জনসমাগম এড়িয়ে চলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব বাণিজ্য সংগঠনের বার্ষিক সভা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হলো।
সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সহ সকল ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, দেশে করোনা মহামারির কারণে যেভাবে সংক্রমণ এবং মৃত্যু বাড়ছে তাতে এই মুহূর্তে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সংক্রমণ রোধে সরকার নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো করেছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে এফবিসিসিআই’র নির্বাচন প্রসঙ্গে সংগঠনটির নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি আজকের বিজনেস বাংলাদেশকে বলেন, সকল বাণিজ্য সংগঠনের সাধারণ সভা ও নির্বাচন বন্ধ করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটা আমি হাতে পেয়েছি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জরুরী সভা আহ্বান করা হয়েছে। সরকারের এই নির্দেশনা কিভাবে পরিপালন করা যায় সে বিষয়ে ওই সভায় আলোচনা হবে। যেহেতু সরকার থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান কমিটি দায়িত্ব পালন করে যাবে। অধ্যাপক আলী আশরাফ আরও বলেন, যারা ঋণ খেলাপি রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে কিংবা যাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে তারা কেউ এফবিসিসিআই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এফবিসিসিআই’র নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। তফসিল অনুযায়ী আগামি ৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এফবিসিসিআইয়ের ৬০ পরিচালক পদের মধ্যে চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ১৮টি করে মোট ৩৬টি পরিচালক পদে সরাসরি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাকি ২৪টি পদে কোনো নির্বাচন ছাড়াই মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দেশের শীর্ষ ১২টি চেম্বার থেকে ১২ জন ও ১২টি অ্যাসোসিয়েশন থেকে ১২ জন এফবিসিসিঅইয়ের পরিচালক হবেন।