রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ সারাদেশে বিপিএড (শরীরচর্চা) শিক্ষকদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে রংপুরে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিপিএড (শরীরচর্চা) শিক্ষকদের সরকারি বেতন ছাড়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন করেছে বিপিএড (শরীরচর্চা) শিক্ষকরা।
গত ১৬ ই জুন বিকাল ১.৩০টায় রংপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন করেন রংপুর বিভাগের সকল বিপিএড (শরীরচর্চা) শিক্ষকগণ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন শামসুল ইসলাম, নাজির দিগর উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপিএড (শরীরচর্চা)শিক্ষক। মানববন্ধন সঞ্চালন করেন সাখাওয়াত হোসেন, রৌমারী উচ্চ বিদ্যালয় বিপিএড (শরীরচর্চা) শিক্ষক। বক্তব্য রাখেন নাজমুল হক, ডা: চন্দনা উচ্চ বিদ্যালয়, কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট, রফিকুল ইসলাম, দারিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা ৪ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবীগুলো হলো, (১) নিয়োগকৃত সকল বিপিএড (শরীরচর্চা) শিক্ষকদের বহাল রাখতে হবে। (২) ২০১৯-২০ অর্থ্ বছর থেকে সকল বিপিএড (শরীরচর্চা)শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে হবে। (৩) ২০১৯-২০ অর্থ বছর থেকে সকল বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতা দিতে হবে। (৪) ১৯৯৮-৯৯, ২০০৩-২০০৪, ২০০৯-২০১০ অর্থ বছর আদেশপ্রাপ্ত বিপিএড শিক্ষকের বেতন পেলে ২০১৯-২০ অর্খ বছরে বিপিএড শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে।
তারা দীর্ঘ ২০-২৫ বছর থেকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে আসছে এবং দীর্ঘদিন শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন। তাদের বয়স ৪০, ৪৫, ৫০ বছর।
প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত হলেও বিপিএড শিক্ষকেরা এমপিওভুক্ত হয়নি। এমপিওর জন্য আবেদন করলেও ফাইলগুলো বাতিল করেন কর্তৃপক্ষ। বাতিল অর্থ হলো নিয়োগের পরে বিপিএড প্রশিক্ষণ। নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পরেই প্রধান শিক্ষকের কাছে বিপিএড প্রশিক্ষণের আবেদন করলে নামঞ্জুর করে বলেন বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট থাকায় পাঠদানের বিঘ্ন ঘটবে অজুহাতে। প্রধান শিক্ষকগণ বলেন, বিপিএড প্রশিক্ষণ পরে গ্রহণ করলেও চলবে। তবুও আমরা ২০১৯-২০ অর্থ বছরের পূর্বেই বিপিএড শিক্ষা গ্রহণ করেছি।
বক্তারা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ইতিপূর্বে ১৯৯৮-১৯৯৯, ২০০৩-২০০৪ ও ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরেও বিপিএড (শরীরচর্চা) শিক্ষকদের অনেকের প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও আপনার মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের এমপিওভুক্ত করেছেন।
বর্তমানে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে আদেশপ্রাপ্ত বিপিএড (শরীরচর্চা) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পরেও তাদের এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের অনুরোধ পূর্বের মতো তাদেরও মানবিক দিক বিবেচনা করে এমপিওভুক্ত করার আবেদন জানান।
তারা এই মানববন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমপিওভুক্ত সরকারি বেতন ছাড়ের জন্য অনুরোধ জানান।