রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

ই-কমার্সের পেমেন্ট নির্দেশনা জারি

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১
  • ১৫৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : অনলাইনে কেনাকাটা বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য মূল্য ও সেবা মাসুল পরিশোধের বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে গতকাল এ নীতিমালা জারি করা হয়।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ক্রমবিকাশমান ডিজিটাল কমার্সের মূল্য পরিশোধে ব্যাংক, পিএসও, এমএফএস ও পিএসপিগুলো সেবা দিচ্ছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে, গ্রাহক অর্থ পরিশোধের পরও অনেকের পণ্য পেতে দেরি হচ্ছে বা পাচ্ছেন না। এতে গ্রাহক ও পরিশোধ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে, যা ডিজিটাল কমার্স সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর গ্রাহকের আস্থার সংকট তৈরি করছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের (মার্কেটপ্লেস) ইস্যু করা ভাউচারের বিপরীতে পণ্য ক্রয় বা সেবা গ্রহণ না করা পর্যন্ত অর্থ ছাড় করা যাবে না। ভাউচার ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি করা খরচের অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে সমপরিমাণ অর্থ ছাড় করা যাবে। মূলত চালডাল, স্বপ্ন, পাঠাও, উবার, ফুডপান্ডার মতো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা নিজেদের উৎপাদিত পণ্য বা সেবা দোকান বা নিজস্ব শোরুমের মাধ্যমে বিক্রি করে। পাশাপাশি অনলাইনেও পণ্য বা সেবা বিক্রি করে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান যারা সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করে থাকে, তাদের ক্ষেত্রেও ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজের বিবেচনায় অর্থ ছাড় করতে পারবে।

এ ক্ষেত্রেও গ্রাহকের পণ্য বুঝে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়নি। আড়ং, ইয়োলো, সিঙ্গার, স্যামসাংসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যাদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কারণ, প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব শোরুমের পাশাপাশি অনলাইন মাধ্যমেও পণ্য বিক্রি করে থাকে।

আর যেসব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৭ দিনের মধ্যে গ্রাহকের কাছে পণ্য বা সেবা পৌঁছে দিতে পারবে না, তারা টাকা পাবে গ্রাহকের কাছ থেকে পণ্য বা সেবা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে গ্রাহকের টাকা পরিশোধকারী ব্যাংক বা অন্য আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব নিষ্পত্তি (সেটেলমেন্ট) হিসাবে রেখে দেবে। তবে এ অর্থ অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, পণ্য বা সেবা সরবরাহে যেসব প্রতিষ্ঠান ৭ দিনের বেশি সময় নেবে, অর্থ ছাড়ের জন্য তাদের গ্রাহকের নাম, মোবাইল নম্বর ও ক্রয়াদেশের বিবরণসহ একটি তালিকা অর্থ পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে জমা দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com