নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনির সাথে ৯ জুন বোট ক্লা’বে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্যবসায়ী নাছির ইউ মাহমুদ। বৃহস্পতিবার জা’মি’ন লা’ভের পর শনিবার গণমাধ্যমের সাথে খো’লামেলা কথা বলেছেন তিনি। নাছির ইউ মাহমুদ বলেন, একজন সেলেব্রিটিই শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারে না। অ’ভিনেতারা নাকি চোখে গ্লি’সা”রিন লাগিয়ে কাঁ’দতে পারে।
একজন সেলেব্রিটির অ’ভিনয়ের কারণে আজ আমি সামাজিকভাবে হে’য় প্র’তিপ’ন্ন হয়েছি। তিনি বলেন, বোট ক্লা’বের ঘটনার ৫ দিন পর একঘন্টার ব্যবধানে বহু ক্যামেরা নিয়ে তিনি (পরিমনি) ঘটা করে সংবাদ সম্মেলন করলেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্প’র্শকা’তর চিঠি দিলেন। পরিমনি অ’ভিযো’গ করলেন কোনো থা’না’য় তিনি রে’সপ’ন্স পাননি! অথচ তিনি বনানী থা’না’য় যখন অ’ভি’যোগ করতে যান, তখন তিনি মা’তা’ল অ’বস্থা’য় ছিলেন। যা আপনারা সিসি ক্যামে’রার মাধ্যমে বিভিন্ন টেলিভিশনে দেখেছেন।
থানা থেকে তাকে বলা হলো আপনি সু’স্থ হয়ে আগামীকাল অভিযোগ দায়ের করেন। আপনি আর গেলেন না। আপনিতো ঘটনার আশেপাশের থা’না রূপনগর বা সাভা’র থানায়ও যেতে পারতেন। কেন যাননি? ঘটনার পাঁচদিনেও কোনো থানায় অভিযোগ কেনো জানালেন না? থানাতো বন্ধ ছিলো না। তাহলে পরিমনি কি করে বললো কোনো থানা তাকে রেসপন্স করেনি? নাছির মাহমুদ বলেন, পরিমনি অভিযোগ করেছেন, তাকে নাকি আমি চে’ষ্টা করেছি! একটি মানসম্মত ক্লাবে কখনই কোনো অনৈতিক কাজের সুযোগ নেই। অভিযোগ করেছেন, আমি নাকি তাকে হত্যার চেষ্টা করেছি! আমিতো তাকে এ ঘটনার আগে চিনতামই না। পরিমনি নিজেও বলেছে সে আমাকে আগে চিনতো না।
তার সাথেতো আমার পূর্বের কোনো শত্রুতাও ছিলো না। তবে তাকে কেনো আমি হত্যা করতে যাবো? তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি, সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। বিভিন্ন ক্লাবে জড়িত। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমা’র দুঃখ একটা, সে অ’ভিযো’গ করেছে একা। অথচ, সেই সময়ে উপ’স্থিত ক্লাবের কর্মকর্তা ও’ নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা কি বলেছে? তা সঠিকভাবে ত’দ’ন্ত হচ্ছে না। সেদিন কি হয়েছিলো জানতে চাইলে অ’ভিযু’ক্ত এই ব্যবসায়ী বলেন, আমি বোট ক্লা’বের ডিসি’প্লি’নের দা’য়িত্বে ছিলাম। ৯ জুন রাত সাড়ে বারোটায় পরিমনি কয়েকজনকে নিয়ে আসে। এসে ম’দপা’ন করতে থাকেন।
এতেও কেউ বাঁ’ধা দে’ননি। কিন্তু তিনি নিজ হাত দিয়ে র্যা’ক থেকে তিন লিটারের ব্লুলেভেল হুইস্কির নিতে গেলে ক্লাবের ষ্টাফরা বাঁধা প্রদান করেন। এতেই ক্ষি’প্ত হয়ে ওঠেন পরিমনি। যা কোনো সভ্য মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। এই হুইস্কির দাম দেড় লাখ টাকা। আর এটা সদস্য ছাড়া বিক্রয়যোগ্য নয়। কর্মচারীরা এতে বাঁ’ধা প্রদান করার পরই টেবিলে থাকা গ্লাস, প্লেট ভাংচুর করতে থাকে। ষ্টাফরা বিষয়টি আমাকে জানালে আমি পরিমনিকে এটা নিতে নিষেধ করি। সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিক ভাবে তার সামনে থাকা প্লেট ও গ্লাস আমার দিকে ‘উড়িয়ে মারে। প্রথমটা আমা’র শরীরে না লাগলেও পরেরটি আমার ঘাড়ে লাগে। তখন আমি তাদের ক্লাব থেকে বের হয়ে যেতে বলে পরিমনির সাথে আসা জিমি আমার ঘাড়ে একটি ঘুসি মেরে বসে।
তখন ক্লাবের আরেক সদস্য শাহ আলম জিমিকে আটক করে। মা’রামা’রি বাঁ’ধে জিমি ও শাহ আলমের মাঝে। তখন অন্যান্য সিকিউরিটিরা তাদের আলাদা করেন। তিনি বলেন, পরিমনিরা যাওয়ার সময়ও দুই বো’ত’ল ও’য়া’ইন নিয়ে যায়। পরেরদিন এটার বিল ৮৫ হাজার টাকা পরি’শো’ধ করেন অমি। আমি চাই সত্য উ’ম্মো’চিত হোক। আইনের প্রতি আমা’র বি’শ্বা’স আছে। তারা অবশ্যই সত্য বের করবে। পরিমনির অ’ভি’যো’গ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী নাছির বলেন, সে বলেছে আমি এক বো’ত’ল ম’দ খেয়েছি, পরে এক বো’ত’ল নাছির আমাকে জো’র করে খা’ইয়ে’ছেন। এক বো’ত’লে ২০ প্যাক ম’দ থাকে। পুরো এক বো’ত’ল খেয়ে কেউ সু’স্থ থাকতে পারে না। তিনি আরো অ’ভি”যোগ করেছেন আমি নাকি তাকে ক’ফি খাওয়ার অফার করেছিলাম।
অথচ, কফিশপ ব’ন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যা ৬টায়। তাছাড়া বারে ক’ফি সার্ভ’ হয় না। একজন সেলেব্রিটি এমন মি’থ্যা’চা’র করতে পারেন যা সত্যিই বি’স্ম’য়কর। তিনি বলেন, একজন সেলেব্রিটিই শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হতে পারে না। অ’ভিনেতারা নাকি চোখে গ্লিসা”রিন লাগিয়ে কাঁদতে পারে। একজন সেলেব্রিটির অ’ভিনয়ের কারণে আজ আমি সামাজিকভাবে হেয়’ প্র’তিপন্ন হয়েছি। আম’রাওতো ফে’লে দেয়ার মত নয়। সমাজে আমাদেরও অব’স্থান রয়েছে। আম’রা ব্যবসায়ীরা রা’ষ্ট্রে নিয়মিত কর দিয়ে থাকি। আমি ঢাবির একটি হলের নির্বাচিত জিএস ছিলাম। উত্তরা ক্লা’বের মত একটি দাবি ক্লা’বে তিনবার নির্বাচিত সভাপতি ছিলাম। ছিলাম জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়ার। আমাকে আ’ট’ক করার পরও কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমা’র বি’রুদ্ধে কোনো অ’ভিযো’গ করেননি।
সারাজীবন সততার সাথে চলেছি। কারো প্রতি অবিচার করিনি। কারো টাকা আ’ত্ম’সা’ৎ করিনি। ব্যবসা করতে গিয়েও কারো সাথে কোনদিন বি’রো’ধ সৃ’ষ্টি হয়নি। ক্লা’বের সিসি ক্যা’মেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশসহ কোনো দেশেই বারে সি’সি ক্যা’মে’রা থাকে না। কারণ, সমাজের উচ্চবিত্ত মানুষ যখন এসব ক্লাবে আসে তখন তারা চায়, এগুলো যাতে প্রকাশিত না হয়। প্রসঙ্গত, ১৩ জুন রাতে পরিমনি তার বনানী বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে অ’ভি’যো’গ করেন, ৯ জুন রাত ১২টার পর পরিচিত জনদের নিয়ে তিনি বোট ক্লা’বে যান। সেদিন চারজন ম’দ্য’প ব্যক্তি তাকে শা’রী’রিকভা’বে নি’র্যাত’ন করে। চ’ড়-থা’প্পড় মা’রে, গা’য়ে আ’ঘা’ত করে। এক পর্যায়ে একজন তাকে নে’শাদ্র’ব্য খাইয়ে ধ’র্ষ’ণের চে’ষ্টাও করে।তার অ’ভিযো’গ উত্ত’রা বোট ক্লাবে’র সদস্য ও উত্ত’রা ক্লাবে’র সাবেক সভাপতি ও ব্যবসা’য়ী নাছির ইউ’ মাহমুদ তাকে হ’ত্যা’র চে’ষ্টাও করেন।