নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ব (র্যাবের) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, গত তিন দিনে লকডাউন চলাকালে ৭শ ব্যক্তির নিকট থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কঠোর লকডাউনের মধ্যেও মাদক কারবারীদের তৎপরতা থেমে নেই এবং বিভিন্ন অভিনব কায়দায় মাদক পাচার হচ্ছে। জরুরি পণ্য পরিবহনের ট্রাক, লাশবাহী গাড়ি, তেলের লরি, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অভিনব কৌশলে মাদক পরিবহন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ১৩ নং সেক্টর গরীবে নেওয়াজ এভিনিউ সড়কে লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিধিনিষেধ অমান্য করে চলাচলরত যানবাহনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা শেষে সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেসব্রিফিংয়ে র্যাবের মুখপাত্র এ কথা বলেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে র্যাব- ১ এর কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে, কণেল মোঃ আব্দুল মোত্তাকিম, লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের উপ পরিচালক মেজর রইসুল ইসলাম মনি সহ র্যাব- ১ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে নানা তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে র্যাবও। চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত সারাদেশে চেকপোষ্টে বিপুল পরিমাণ মাদক আটক করা হচ্ছে।
মাদককারবারিদের প্রসঙ্গে তিনি জানান, মাদক কারবারীরা পণ্যবাহী ট্রাক, মাইক্রোবাস কিংবা পিকআপে করে মাদকের চালান নিয়ে আসছে। মাদক কারবারীদের এসব তৎপরতার কারণে র্যাব সদস্যরা শুধু স্বাস্থ্যবিধি, মানুষকে ঘরে রাখার কাজই করছে না অন্যান্য সামাজিক অপরাধ বিশেষ করে মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, এছাড়া রংপুর ও চট্টগ্রাম থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সহ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে । উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ফেনসিডিল ও গাঁজা।
র্যাবের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, লকডাউনে ভূয়া সাংবাদিকতা আইডিকাড’ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এবিষয়ে র্যাব কাজ করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূয়া ও অপ-সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে গোয়েন্দা নজরধারী বাড়ানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই র্যাবের সবগুলো ব্যাটালিয়নের সদস্যরা রাতদিন মানুষকে ঘরে রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখা সর্বোপরি মানুষ যেন ঘর থেকে বের না হয় সে জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানান।
খন্দকার আল মঈন আরও জানান, রোধ বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমরা মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছি। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে পাড়া মহল্লায় টহল জোরদার করা হয়েছে।
পরে প্রেসব্রিফিং শেষে র্যাব- ১ এর অধিনায়কের নেতৃত্বে উত্তরা ১০ নং সেক্টর কাঁচাবাজার ও ফলের আড়তে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সেখানে এক ফল ব্যবসায়ীকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।