জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : আন্তর্জাতিক টিকিটধারী যাত্রীদের ঢাকায় আসার সুযোগ দিতে অভ্যন্তরীণ রুটে দেশি এয়ারলাইনসগুলোকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
সোমবার বিকেলে বেবিচকের এক সার্কুলারে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। এতে বলা হয়, ৮ জুলাই প্রথম প্রহর থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত সব ধরনের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকবে।
এদিকে, ৮ দেশ থেকে ফ্লাইট আসায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বেবিচক। সংস্থাটি বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানায়, ভারত, নেপাল, বতসোয়ানা, মঙ্গোলিয়া, নামিবিয়া, পানামা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তিউনিশিয়া থেকে কেউ বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশি নাগরিক ও প্রবাসী কর্মী যারা ১৫ দিনের মধ্যে এই দেশগুলো ভ্রমণ করেছেন, তারা বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরতে পারলেও ফেরার পর তাদের বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
১৪ দেশ থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
দেশে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই বিধি নিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে অন্যান্য গণপরিবহনের মতো বন্ধ রাখা হয় অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল। তবে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট স্বাভাবিক রয়েছে।
বেবিচক জানায়, শুধুমাত্র বিদেশগামীদের আনা-নেওয়া করতে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালাতে পারবে দেশি এয়ারলাইনসগুলো। যেসব যাত্রীর আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট রয়েছে, তাদের জন্য অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চালাতে পারবে তিন দেশি অপারেটর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, নভোএয়ার এবং ইউএস বাংলা। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরাও এই ফ্লাইট ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের টিকিট ছাড়া অন্যদের পরিবহন করা যাবে না। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্রু এবং যাত্রীদের কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
দেশে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে ৭ দিনের লকডাউন চলছে। এই বিধিনিষেধের মধ্যে অন্যান্য গণপরিবহনের মতো বন্ধ রাখা হয় অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল। তবে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট স্বাভাবিক রয়েছে।