জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : সারা দেশে স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটে জাল নোট শনাক্ত করতে থাকবে ব্যাংকের বুথ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সেবা দেওয়া হবে। কোরবানির ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব বুথের কার্যক্রম চলবে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাজধানীর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের পূর্ব রাত পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দিতে হবে। হাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বরসহ ব্যাংকের সমন্বয়ক হিসাবে মনোনীত একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি ও মোবাইল নম্বর আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বাইরে সব জেলায় অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতেও একই প্রক্রিয়ায় সেবা দিতে ব্যাংকের শাখাগুলোতে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস আছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট অফিসের নেতৃত্বে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রধান শাখাকে নির্দেশ দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই, এমন জেলায় সিটি কপোরেশন, পৌরসভা ও থানার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেস্ট শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
হাটে ব্যাংকের নাম ও তার সঙ্গে জাল নোট শনাক্তকরণ বুথের ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে। বুথে নোট যাচাইয়ের সময় কোনো জাল নোট ধরা পড়লে জাল নোট ০১ (পলিসি)/২০০৭-১৯১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাল নোট শনাক্তে হাটে দায়িত্ব পালনকারী কার্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। পাশাপাশি কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।