নিজস্ব প্রতিবেদক : দীর্ঘ ৩৫ বছর পর সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ ও পদোন্নতি জটিলতার নিরসন হচ্ছে। সৃষ্ট জটিলতা চিহ্নিত করে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করা হয়েছে। দ্রুত সেটি কার্যকর করা হবে। সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালার মাধ্যমে প্রাথমিকের পদোন্নতি জটিলতা কাটবে বলে জানা গেছে।
সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালায় দেখা গেছে, সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা বর্তমানে দু’টি শর্ত পূরণ করে বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার’ পদে পরীক্ষা দিতে পারেন।
শর্ত দু’টি হলো—শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর এবং বয়স ৪৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। এভাবে অতীতে অনেক শিক্ষকই কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
তবে সব শিক্ষকদের এভাবে কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ থাকছে না। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ‘সমন্বিত নিয়োগ বিধিমালা’। এতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে শুধু প্রধান শিক্ষকদের জন্য এ সুযোগ রাখা হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের বিভাগীয় প্রার্থী হিসেবে ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার’ পদে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ রাখা হয়নি।
ইতোমধ্যে নতুন বিধিমালাটি সচিব কমিটিতে অনুমোদনের পর সেটি মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের সভায় অনুমোদনের পর সেটি চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) রতন চন্দ্র পন্ডিত জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সংশোধিত নিয়োগ বিধিমালা সব ধাপে চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। ক্যাবিনেট থেকে আসলে ছোট-খাটো কিছু কাজ আছে, সেসব শেষ করে সেটি বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৮৫ সালের পরে এ নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করা হয়নি। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। সেসব সমাধানের মাধ্যমে এ নীতিমালা সংশোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অফিস সহায়ক থেকে মহাপরিচালক পর্যন্ত ৭৬টি পদে নিয়োগ-পদোন্নতি ও কর্মকর্তাদের গ্রেড সংক্রান্ত বিষয় উল্লেখ রয়েছে।’
তবে এটি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে শিক্ষকদের মাঝে। তারা বলছেন, এতদিন ‘উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার’ পদে পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হলেও প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) ইনস্ট্রাক্টর ও সহকারী ইনস্ট্রাক্টর পদে তাদের বিভাগীয় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হত না। নতুন বিধিমালায় সব ধরনের কর্মকর্তা পদ থেকে সহকারী শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হলো বলে মনে করেন শিক্ষকরা।