নিজস্ব প্রতিবেদক : বিয়েতে নিজ পরিবারের লোক জন রাজি না, তাই ‘আত্মহত্যার করতে’ পাঁচতলার কার্নিশে উঠেছিলেন এক যুবক। মধ্যরাতে প্রায় তিন ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযানে তাকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স (দি লাইফ সেভিং ফোর্সের”) সদস্যারা।
শনিবার মধ্যরাতে রাজধানীর দক্ষিণখানের কাজীবাড়ি রোডে গাওয়াইর এঘটনাটি ঘটে। উদ্বার অভিযানকালে স্হানীয় শতশত উৎসুক মানুষ ওই বাড়ি ঘিরে জটলা করে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স উওরা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম আজ রোববার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাবিবুর রহমান নামে ২৬ বছর বয়সী ওই যুবক একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। দক্ষিণখানের ছয় তলা ওই বাড়ির মালিক তার বাবা। ভবনের চতুর্থ তলায় তারা থাকেন। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় যারা ভাড়া থাকেন, তাদের এক মেয়ে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার সঙ্গে বাড়ির মালিকের ছেলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। ছেলে বিয়ের জন্য পরিবারকে চাপ দিচ্ছিল, কিন্তু পরিবার রাজি হচ্ছিল না। পরে ছেলে মাঝরাতে পাঁচতলা কার্নিশে ওঠে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য। আশপাশের লোকজন তাকে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দেয়। খবর পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে যান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। তারা নানাভাবে ওই যুবককে বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে ওই তরুণী এবং তার মাকেও ডেকে আনা হয়। তারাও ছেলেটিকে নেমে আসতে অনুরোধ করেন। কথা বলে সময়ক্ষেপণ করার ফাঁকে ফাঁকে আমরা পাঁচতলার জানালার গ্রিল কাটি এবং রেসকিউ রোপ দিয়ে দ্রুত তাকে বেঁধে ফেলি যাতে লাফিয়ে পড়তে না পারে, পরে তাকে নামিয়ে আনা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও জানান, তিনি মাত্র ২ ইঞ্চি কার্নিশে অত্যন্ত বিপদজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন । দীর্ঘ সময় তাকে আত্মহত্যার চেষ্টা হইতে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করি। পরবর্তীতে তার মা , প্রেমিকা এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেব কে দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেও তাকে আত্মহত্যা হতে নিবৃত্ত করা যাচ্ছিল না।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের নাম হাবিবুর রহমান, বয়স ২৬ বছর,পিতা: হারুনুর রশিদ, ঠিকানা:কাজী বাড়ী রোড, গাওয়াইর, দক্ষিন খান, ঢাকা। ৯৯৯ কল পেয়ে অবশেষে দ্রুত গতিতে ঘটনাস্হলে পৌঁছে রাতভর দুঃসাহসিক অভিযান শেষে পঞ্চম তলার কার্নিশ থেকে আত্মহত্যার চেষ্টাকারী ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করল উত্তরা ফায়ার সার্ভিস।
তিনি বলেন, বিয়ের জন্য আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই যুবককে তারা পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছেন।