মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেটে জাতীয় পার্টির বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ শিক্ষাবিদ হাসানুজ্জামানের ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা’ বই প্রকাশিত হলো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনর কাজ পরিদর্শন করেন মেয়র ডা: তাহসিন বাহার সূচনা ভারতের মসলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্বেগ গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অযত্নে পড়ে আছে ৬৫০ কোটি টাকার ডেমু ট্রেন, অনিয়ম-দুর্নীতিতে স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণখানে রিকশাচালকদের মাঝে পানি বিতরণ করলেন খন্দকার সাজ্জাদ খালের কচুরিপানা উচ্ছেদে নেমেছেন ডা. প্রান গোপাল দও এমপি। এমপি’র নাম ভাঙ্গীয়ে জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে হুমকি

যে ৯ লক্ষণ দেখে বুঝবেন সন্তান মাদকাসক্ত

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১
  • ১৬৫ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক : মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে আগে জানতে হবে মাদকাসক্তি কী? নেশায় জড়িয়ে পড়া বা মাদকাসক্তি একটি ব্যাধি। সাধারণত চিকিৎসাবিদ্যায় মাদকাসক্তিকে বলা হয়, ক্রনিক রিলাক্সিং ব্রেইন ডিজিজ বা বারবার হতে পারে এমন স্নায়ুবিক রোগ।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন ব্যক্তিকে মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত করার কিছু শর্ত আছে। প্রথমত, যেকোনো উপায়েই হোক নেশাদ্রব্য সংগ্রহ করতে হবে, যেটিকে ইংরেজিতে ক্রেভিং বলে। দ্বিতীয়ত, নেশাবস্তু গ্রহণের মাত্রা ক্রমশ বাড়িয়ে দেয় বা বাধ্য হয়, যেটিকে টলারেন্স বলা হয়। তৃতীয়, নেশাবস্তুর প্রতি দৈহিক এবং মানসিক নির্ভরতা গড়ে ওঠে। নেশাবস্তুটি গ্রহণ করতে না পারলে তার দৈহিক ও মানসিক অবস্থার ভারসাম্য নষ্ট হয়।

ভয়াবহ সংবাদ হলো, গোটা বিশ্বের মতো আমাদের দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ১৮ বছরের বেশি ৩ দশমকি ৩০ শতাংশ, ১২-১৭ বছর বয়সী ১ দশমিক ৫০ ও ৭-১১ বছর বয়সীদের মধ্যে ০ দশমিক ২০ শতাংশ মানুষ মাদকাসক্ত। অর্থাৎ, ৭ বছরের শিশুও মাদকাসক্ত হয়েছে এমন প্রমাণ রয়েছে। সার্বিকভাবে দেখা যায়, পুরুষদের মধ্যে ৪ দশমিক ৮০ এবং নারীদের ০ দশমিক ৬০ শতাংশ মাদকাসক্ত।

মাদকাসক্তদের মধ্যে গাঁজায় আসক্ত ৪২ দশমিক ৭০, মদে ২৭ দশমিক ৫০, এমফেটামিন জাতীয় ওষুধে ১৫ দশমিক ২০, আফিম জাতীয় দ্রব্যে ৫ দশমিক ৩০ এবং ঘুমের বড়ি বা ট্যাবলেট খায় ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। এ জরিপ থেকে আমরা আমাদের দেশে মাদকাসক্তের সার্বিক একটা চিত্র বুঝতে পারি।

খুব ভয়ের ব্যাপার হলো, দেশের তরুণ-তরুণী কিংবা কিশোর-কিশোরীরা মাদকে বেশি আসক্ত হচ্ছে। দেশে মাদকাসক্তের প্রায় ৬৩ শতাংশ তরুণ-তরুণী। কিশোর বা তরুণদের ক্ষেত্রে সঙ্গত কারণেই আমরা বলে থাকি, ওদের আবেগ অনিয়ন্ত্রিত এবং বয়সটিতে বন্ধুদের প্রভাব অনেক বেশি থাকে। এদের মধ্যে অনেকেই নিছক কৌতূহলের বশে নেশা করে। অনেকের ক্ষেত্রে সামাজিক বা ব্যক্তিগত কোনো হতাশা থেকে শুরু হয়। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত হয়েও অনেকে কিন্তু মাদকে ঝুঁকে পড়ে। দেশে নানা জাতীয় মাদকের সহজলভ্যতাও মাদকাসক্তির অন্যতম কারণ।

এ ছাড়া মাদকাসক্তের পেছনে পারিবারিক অনেক কারণও আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। যেমন, কোনো সংসার বা পরিবারে পারিবারিক কলহ দিনের পর দিন চলতে থাকে, মা-বাবা কিংবা বড় ভাই-বোনদের কেউ মাদকাসক্ত, মা-বাবার সাথে শিশু-কিশোর বয়সে সন্তানের স্নেহপূর্ণ সম্পর্কের ঘাটতির কারণেও মাদকে আসক্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

এখন আসা যাক তরুণ-তরুণীরা মূলত কোন কোন মাদকে আসক্ত হয়। সাম্প্রতিক ডিএসএম-৫ বা ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল অব মেন্টাল ডিস-অর্ডারসের পঞ্চম সংস্করণে ১০টি দ্রব্যকে মাদক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো, অ্যালকোহল বা মদ, ক্যাফেইন, ক্যানাবিস বা গাঁজাজাতীয় দ্রব্য, হ্যাল্যুসিনোজেনস বা বিভ্রম সৃষ্টিকারী দ্রব্য (এলএসডি, বিভিন্ন ধরনের ইনহ্যাল্যান্টস অর্থাৎ যেগুলো শ্বাসের সাথে গ্রহণ করা হয়), অপিওয়েডস বা আফিম জাতীয় দ্রব্য, সিডেটিভ বা উত্তেজনা প্রশমনকারী দ্রব্য (ঘুমের ওষুধ, হিপনোটিকস বা সম্মোহক পদার্থ), অ্যানজিওলাইটিকস বা উদ্বেগ প্রশমক দ্রব্য, স্টিম্যুলেন্টস বা স্নায়ু উত্তেজক দ্রব্য (অ্যামফিটামিন জাতীয় দ্রব্য বা কোকেইন) এবং বিভিন্ন তামাকজাতীয় দ্রব্য।

সূত্র: ডক্টর টিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com