এম,পারভেজ ঃ সুস্থতার জন্য সামাজিক আন্দোলনে উলামায়ে কেরামের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভা আজ সকালে উত্তরার ৬নং সেক্টর উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা -১৮ আসনের সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ হাবিব হাসান,শায়খুল হাদীস অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, শায়খুল হাদীস রুহুল আমিন উজানবী, মাওলানা নাজমুল হাসান, বেফাকের সেক্রেটারী অধ্যাপক আনিসুর রহমানসহ শতাধিক আলেম উলামাবৃন্দ এবং কাউন্সিলর আফছার উদ্দিন খান, জাইদুল ইসলাম মোল্লা,জয়নাল আবেদিন প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতিকুল ইসলাম বলেন, এডিস মশা প্রতিহত করা শুধু মেয়র এমপি এবং কাউন্সিলরের পক্ষে সম্ভব নয়।এতে জনসাধারণ সবাই কে সম্পৃক্ত হতে হবে। তিনি বলেন,যে বাড়িতে অব্যবহৃত কমোট, ফুলের টব সহ বিভিন্ন পাত্রে পানি জমে থাকে সে বাড়িতেই এডিস মশা জন্মে এবং বাসিন্দারা ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হয়।তাই ঘরে ঘরে সচেতনতা পৌঁছে দিতে ঈমাম আলেম উলামায়ে কেরামের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সচেতনতা বিষয়ে বলেন, ডাবের খোসা ৬টুকরা করে ফেলতে হবে, চিপসের প্যাকেট যেখানে সেখানে ফেলা যাবে না। দুবাড়ির মাঝে গ্যাসের এবং পানির মিটারে লার্ভা জন্মে তাই এগুলো খেয়াল রাখতে হবে। তিনি শ্লোগান শিখিয়ে দেন, তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন,প্রতি শনিবার ১০টায় ১০মিনিট নিজের বাড়ি নিজে করি পরিস্কার। দিনে বা রাতে ঘুমাতে গেলে অবশ্যই মশারী টানাতে হবে। বাচ্চাদের পা এবং হাত ঢেকে রাখা কাপড় পরাতে হবে।তিনি বলেন, আলেমদের অনুপ্রেরণা এবং মোটিভেশনাল কাজে এগিয়ে আসতে হবে। পরিশেষে লার্ভা জন্মে এমন জিনিস কুড়িয়ে দিলে নগদ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাবিব হাসান বলেন, করোনাকালীন বিপদের সময় আমাদের নিজের সচেতন হতে হবে। ঈমামদের কে মসজিদে নামাজে আসা মুসল্লীদের সচেতন করার আহবান জানান। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে বহু মসজিদ করে দিয়েছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করেন।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন গাওয়াইর মাদরাসার প্রধান মুফতি জহির বিন মুসলিম, খিলক্ষেত বাজার মসজিদের খতিব নূরুল ইসলাম, ৯নং সেক্টর মাদরাসা ও মসজিদের খতিব মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ নোমানী,হাফেজ নাজমুল হাসান, উলামায়ে কেরামের বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। আমরা যদি আমাদের প্রিয় রাসূলের (সঃ) সুন্নত সমূহ পালন করি তাহলে আমরা ডেঙ্গি এবং করোনা মহামারি থেকে আল্লাহর হেফাজত লাভ করতে পারি।প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য অযু করতে হয়, শরীর কাপড় এবং নামাজের স্থান পাক করতে হয়, হাঁচি বা কাশি দিলে বাম হাতের উল্টো পাশ নাকের উপর দিতে হয়।রাস্তা ঘাটে গাড়ি পার্কিংসহ কষ্ট দায়ক কিছু রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে আল্লাহর লানত বর্ষিত হয়।তাই সুন্নত গুলো আমাদের মেনে চলতে হবে।