জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত রেনসে টিরিঙ্ক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে এর সব উন্নয়ন পরিকল্পনায় পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়েছে। আমরা বন্যা, সাইক্লোন ও নদী-ক্ষয়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি। বাংলাদেশ নদী ড্রেজিং করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান গ্রহণ করেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়ক হবে। আমি প্রকৃতিকভাবে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত উষ্ণতা ঠেকাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সহায়তা কামনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, দেশের জনগণ ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তাই তার সরকার করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অনেকেই এ দেশে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় এটি এখন নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
জবাবে ইইউ দূত রেনসে টিরিঙ্ক বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সহায়তা করার কিছু উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় ইইউ সদস্য রাষ্ট্রসমূহ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিবে।
ইইউ দূত বলেন, তার দেশও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে এবং তারা বাংলাদেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে।
বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল দেশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
বৈঠকাকালে প্রধানমন্ত্রী অ্যাম্বাসেডর-এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস উপস্থিত ছিলেন।