জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : শেষ হলো চলমান একাদশ জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশন। গত ১ সেপ্টেম্বর অধিবেশনটি শুরু হলেও এর কার্যদিবস ছিল সাতটি। ৯টি বিল পাস হয়। এ অধিবেশনে চারটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপিত হয়।
চলতি অধিবেশন মাত্র চার কার্যদিবস চালিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও সংসদে শোকপ্রস্তাব গ্রহণের কারণে সেটি বাড়াতে হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অধিবেশন সমাপ্তি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনানোর মধ্য দিয়ে অধিবেশনের ইতি টানেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে অধিবেশনে সমাপনী ভাষণ দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
গত ১ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া অধিবেশন দুজন সংসদ সদস্য মারা যাওয়ার কারণে প্রথমেই দুই দফা মুলতবি করা হয়। সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে প্রথমদিনের বৈঠক এবং হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে পরদিন ২ সেপ্টেম্বরের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
টানা ৯ দিন বিরতির পর ১৪ সেপ্টেম্বর আবার সংসদের বৈঠক শুরু হয়। তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে স্পিকার ৫ সেপ্টেম্বর অস্ট্রিয়া যাওয়ার কর্মসূচি থাকার কারণেই মূলত বিরতি দেওয়া হয়।
সেদিন সংসদ বসলেও জাতীয় পার্টির (জাপা) সংরক্ষিত আসনের এমপি অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী মারা যাওয়ায় সংসদের রীতি অনুযায়ী এদিন অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। শোকপ্রস্তাবের আলোচনার পর মুলতবি হয় সংসদ।
এ অধিবেশনে ৭১ বিধিতে ৩১টি নোটিশ পাওয়া যায়, যার মধ্যে একটিও আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য মোট ২৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে তিনি জবাব দেন ১৬টির। অন্য মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন জমা পড়ে ৫৮৪টি। মন্ত্রীরা ৩৮৯টি প্রশ্নের জবাব দেন। করোনাভাইরাসের কারণে এবার শুক্রবারও জাতীয় সংসদের বৈঠক বসে।
অধিবেশন সমাপনীর আগে ১৯৭১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণের ভিডিওচিত্র অধিবেশন কক্ষের স্ক্রিনে দেখানো হয়।