জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : প্রতিবছর ১০ এপ্রিল জাতীয় জরিপ দিবস পালনের বিষয়ে একমত হয়েছে জরিপবিষয়ক বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর ক্যাম্পাসের কনফারেন্স রুমে ‘জরিপ দিবস’ ঘোষণার বিষয়ে একটি সেমিনার হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে উল্লিখিত তথ্য জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
সেমিনারে কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল হাসান এবং বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ হাওলাদার। সভাপতিত্ব করেন সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী এবং উপ-সচিব এম জে আরিফ বেগসহ ২৭টি সরকারি জরিপ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি।
সার্ভেয়ার জেনারেল সেমিনারে জরিপ ও মানচিত্র প্রণয়নের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেন। অন্য বক্তারা জরিপ কী, এর প্রকারভেদ, জরিপ দিবসের গুরুত্ব এবং জরিপ দিবস হিসেবে ১০ এপ্রিল ঘোষণার কারণ ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
সেমিনারে আরও জানানো হয়, বিভিন্ন প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনেক ব্যক্তি জরিপ করে থাকেন। কিন্তু পদ্ধতিগত মৌলিক বিষয়ে ভিন্নতার কারণে এসব জরিপের উপাত্ত পরস্পর বিনিময়যোগ্য হয় না। এর ফলে একই কাজ প্রত্যেককে আলাদাভাবে করতে হয়। এতে একদিকে যেমন আর্থিক ক্ষতি হয়, অন্যদিকে উন্নয়নমূলক কাজে সময় অনেক বেশি লাগে। স্বতন্ত্রভাবে কাজ করার কারণে সংগৃহীত উপাত্তে ভুল থাকার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। সবাই মিলে বছরে নির্দিষ্ট একটি দিনে জরিপ দিবস উদযাপন করলে সব উপকারভোগীসহ সাধারণ জনগণকে এসব বিষয়ে সচেতন করা যাবে। সেই সঙ্গে জরিপের কাজে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান পরস্পর বিনিময়যোগ্য উপাত্ত প্রস্তুত করার বিষয়ে আগ্রহী হবে।
জরিপবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ১০ এপ্রিলকে ঘোষণার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।