একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহম্মেদের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা ও গর্ভপাতের অভিযোগ করেছেন ডা. তৃণা ইসলাম। আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার সেগুন রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলন ওই নারী এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, ‘৭-৮ মাস আগে প্রথমে চাকরির জন্য শাকিল আহম্মেদের অফিসে যাই। ধীরে ধীরে তার সাথে কথা হয়। সে জানায় তার গার্লফ্রেন্ড নাজনীন মুন্নী চলে গেছে এবং সে আমার সাথে রিলেশনের আগ্রহ প্রকাশ করে। সে আমার সাথে বিভিন্নভাবে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ সময় আমি গর্ভবতী হয়ে পড়ি। তাকে বিষয়টি জানালে সে আমাকে বাচ্চা নষ্ট করতে বলে। ওই সময় আমি উচ্চতর ডিগ্রির জন্য বাচ্চা পেটে নিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যাই। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়ি। যুক্তরাজ্য যাওয়ার পর তার আশ্বাসেই বাংলাদেশে ফিরে আসি। দেশের ফেরার সময় বিমানের ট্রানজিট রুট কাতারে আসার পর আমার ভয়বহ রক্তপাত শুরু হয়। ১৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর রক্তপাত বন্ধ হয় ও বাচ্চা রাখা হয়। তবে আমি দেশে আসার পর বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য হই।’
তৃণার অভিযোগ, ‘শাকিল আহম্মেদ আমাকে আশ্বাস দেন তিনি আমার সাথে থাকবেন। বাচ্চা নষ্ট হওয়ার পর তিনি আমাকে এই আশ্বাসও দেন যে বিয়ে করবেন। পরে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায় এবং রিলেশন রাখতেও অসম্মতি জানান। আমি প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচ করে যুক্তরাজ্য গিয়ে তার আশ্বাসে দেশে ফিরে আসি।’
এরপর কোনো এক অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক বিষয়টি জানতে পারে। এ কথা জানার পর শাকিল আমাকে মিথ্যা অপবাদ দেয় ও কুৎসা রটনা করে। বলা হয়, আমার সাথে বিভিন্ন মানুষের সম্পর্ক রয়েছে এবং এ কারণে আমার সরকারি চাকরি চলে গেছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি।
তৃণা আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় আমি তার বিরুদ্ধ প্রভারণা মামলা করতে যাচ্ছি। তার জন্য আজ চাকরি হতে অব্যাহতি পেয়েছি! আমি তার সাথে সমঝোতার চেষ্টা করেছি। তিনি তা করেননি বরং তিনি একজন মন্ত্রীকে ফোন করেছেন এবং আমার সুপার ভাইজারকে ফোন করেছেন। আমি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলাম এবং তার জন্য আজ চাকরি হারিয়েছি। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এ ধরণের প্রতারণা করার জন্য তার বিচার চাই।’