নীলফামারীর ডোমারের রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধির ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ মো. মনছুরুল ইসলাম দানু। দীর্ঘ ৩৫ বছর জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা করেছেন। তার বাড়ির দরজা জনতার জন্য সবসময়ই থাকে খোলা। তার বাসার ড্রয়িং রুম প্রায় ২৪ ঘণ্টাই থাকে সরব।
তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে টানা পাঁচ বার ডোমার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে ডোমার পৌরসভা গঠিত হলে তিনি তিন বার মেয়র নির্বাচিত হন।
দীর্ঘ ৩৫ বছর জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তিনি জনসাধারণের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। দীর্ঘদিন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তার কাজ নিয়ে এলাকার মানুষের কোনো অভিযোগ নেই। প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি রেখেছেন কঠোর জবাবদিহিতা।
ডোমার পৌরসভায় সরকারি ভিজিএফ কর্মসূচি প্রকল্পগুলো ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি ও পৌরসভা কর্তৃক বিভিন্ন সহায়তা উদ্যোগ চালু রয়েছে। এসব প্রকল্পের আওতায় অতিশয় দরিদ্ররা সহায়তা পেয়ে থাকেন।
জননন্দিত সফল মেয়র মনছুরুল ইসলাম দানু ডোমার পৌরসভাকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভায় তৈরি করতে নিরলস কার্য সম্পাদন করে চলেছেন। বৈশ্বিক করোনার মর্মান্তিক ভয়াবহতায় সমগ্র দেশ যখন থমকে দাঁড়ায় ঠিক তখন তিনি ব্যক্তিগতভাবে গরীব-অসহায় মানুষের পাশে থেকে আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।
১৯৮৮ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে অত্যন্ত সফলতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গেছেন। অতুলনীয় সাংগঠনিক দক্ষতা এবং সম্মোহনী বাগ্মিতা তাকে খ্যাতি এবং ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।
ডোমারের উন্নয়নে রাস্তাঘাট, নর্দমা, ফুটপাত উন্নয়ন ও সংস্কার করেছেন। নারী শিক্ষা বিস্তারে প্রতিষ্ঠা করেছেন ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজ। এ ছাড়া ডোমারের শিক্ষা বিস্তারে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ডোমার বালিকা বিদ্যানিকেতন, বড়রাউতা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শাহরিন ইসলাম তুহিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চিকনমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোটরাউতা মন্দির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শারকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়রাউতা শাহরদ্দিন পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবির ডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চিকনমাটি কর্ণময়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মনছুরুল ইসলাম দানু সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ ধীরাজ-মিজান স্মৃতি পাঠাগার ও মিলনায়তনের দ্বিতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ, ডোমার সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদ গঠন, শহীদ মিজান-আব্দুল বারী স্মৃতি সংসদ গঠন, কলেজ পাড়া লায়ন্স ক্লাব গঠন, উদয়ন ক্লাব ও হৃদয়ে স্বাধীনতা ক্লাব গঠন করেন।
এছাড়াও অসংখ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মন্দির পাকাকরণের ব্যবস্থা করেছেন। শিশুবান্ধব ডোমার গড়তে নিরলস কাজ করেছেন নগরপিতা মনছুরুল ইসলাম দানু।
দীর্ঘ ৩৫ বছর জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনে কতটা সফল হয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মনছুরুল ইসলাম দানু বলেন, নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে আমি পৌরবাসীর কাছে দায়বদ্ধ। মূলত সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ভালো-মন্দের বিচার বা সফলতার কথা সাধারণ মানুষ বলতে পারবে।