দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে আগামী সোমবার (২১ মার্চ) সকাল নাগাদ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অফিস। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস থেকে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো বার্তা এখনো দেওয়া হয়নি।
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে নাম হবে অশনি। শ্রীলংকার দেওয়া এই নামের অর্থ বাজ বা বজ্র। ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার দাস জানিয়েছেন, ১৫ মার্চ ভারত সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এটি দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ধীরে ধীরে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বদিকে এগিয়ে ১৯ মার্চ সকালে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে লঘুচাপটি গভীর লঘুচাপে পরিণত হবে। ২০ মার্চ আনন্দাম নিকোবর দ্বীপের কাছাকাছি এসে পরিণত হবে নিম্নচাপে। আর ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে ২১ মার্চ সকালে।
২২ মার্চ এটি উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ২৩ মার্চ আরো উত্তর ও পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উপকূলে। বর্তমানে লঘুচাপের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ উঠে যাচ্ছে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি বেড়ে ২৩ মার্চ ৮০ কিলোমিটারে উঠে যেতে পারে।
এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) থেকেই সাগর উত্তাল হতে শুরু করবে। ২৩ মার্চ প্রবল বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। গত কয়েক বছর ধরে যত সামুদ্রিক ঝড় আসছে সবগুলোই প্রায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক এ বিষয়ে বলেন, একটা সিস্টেম ফর্ম করছে। তবে এটার গতিবিধি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। ঘূর্ণিঝড়ের গতি ও গতিমুখ নিয়ে অগ্রিম কিছু বলা যায় না। কেননা, বারবার এগুলোর গতিবিধি পরিবর্তন হয়। আগে লঘুচাপটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে আসুক, তারপর আমরা সবাইকে এ বিষয়ে অভিহিত করবো।