রোববার (৩ এপ্রিল) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এ মাস উপলক্ষে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে তারাবির নামাজ।
শনিবার (২ এপ্রিল) এশার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদে মসজিদে আদায় করা হয় তারাবি নামাজ।
করোনা মহামারির কারণে সারাদেশে দীর্ঘ দুই বছর ছিল বিধিনিষেধের বেড়াজালে। অনেক কিছুতেই ছাড় দিতে হয় সবাইকে। এ সময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঘরে থেকে করেছেন ইবাদত বন্দেগি। তবে এবার সংক্রমণ কমে আসায় রমজানের প্রথম তারাবিতেই মসজিদগুলোতে নামে মুসল্লির ঢল।
করোনায় দীর্ঘ দুই বছর পর এবার জামাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারাবির নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা। বিধিনিষেধ না থাকায় মসজিদগুলোয় দেখা গেছে আগের মতো ভিড়।
এ বিষয়ে নাজিম সিকদার নামে এক মুসল্লি বলেন, দীর্ঘদিন পর এবার করোনা ভাইরাসের বিধিনিষেধ থাকছে না। গত বছর করোনা মহামারির কারণে ঘরে তারাবির নামাজ আদায় করতে হয়েছে। এবার মসজিদেই আদায় করা যাচ্ছে। এতে আমরা ভীষণ খুশি। নামাজ শেষে অবশ্যই আল্লাহর কাছে সবার জন্য দোয়া-প্রার্থনা করবো।
এদিকে রমজান মাসে সব মসজিদে একই পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
গত বুধবার প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের সব মসজিদের ইমাম, মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয় যেন একই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করে দেশের সব মসজিদে খতম তারাবি পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয় যেন সব মসজিদে রমজানের প্রথম ছয় দিনে তারাবি নামাজে দেড় পারা করে মোট নয় পারা এবং পরবর্তী একুশ দিনে এক পারা করে কোরান তেলাওয়াত করা হয়। এতে ২৭ রমজানের রাতে বা ‘শবে কদরে’ মুসল্লিদের জন্য কোরান খতম করা সম্ভব হবে।