নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ও স্পেনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও স্পেনের প্রেসিডেন্ট পেড্রো সানচেজ।
রোববার (১৫ মে) দিবাগত রাতে মাদ্রিদের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দূতাবাস জানায়, বার্তায় প্রেসিডেন্ট পেড্রো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্জিত বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দায়িত্বশীল, সক্রিয় ও দৃশ্যমান ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জাতিসংঘের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মাদ্রিদে ২০২০ সালে গৃহীত ‘টুগেদার ফর এ রিইনফোর্সড মাল্টিলেটারেলইউম’ শীর্ষক যৌথ ঘোষণাপত্রে বিধৃত বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থার নীতির প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন ও অঙ্গীকারের প্রশংসা করে স্পেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ২০০৮ সালে ঢাকায় স্পেনের আবাসিক দূতাবাস চালুর পর থেকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান ও বিস্তৃত হয়েছে। স্পেন বর্তমানে বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম রপ্তানি-গন্তব্য। স্পেনীয় উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে তাদের উপস্থিতি সম্প্রসারণে ক্রমবর্ধমান আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
বাণিজ্যের পরিধি ও বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিবিধ ক্ষেত্রে বিদ্যমান অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে ঘনিষ্ঠ অংশীদার হিসেবে স্পেন বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন পেড্রো সানচেজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত কপ-২৫ সম্মেলনের সাইডলাইনে স্পেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়টি স্মরণ করে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সামনের দিনগুলোতে শিল্প ও প্রযুক্তি সহায়তা, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, লজিস্টিকস ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং গবেষণাক্ষেত্রে পারস্পরিক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত হবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় সেক্টরে স্পেনীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান তিনি। বার্তায় প্রধানমন্ত্রী স্পেনের প্রেসিডেন্টকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
উল্লেখ্য, স্বাধীন দেশ হিসেবে ১৯৭২ সালের ১২ মে বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি প্রদান করে স্পেন।