তিন দিনের জেরায় তদন্তকারী সংস্থা ইডি পি কে হালদারের কাছে প্রায় দেড়শো কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে। এ সময় জেরায় পাওয়া বেশ কিছু ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস থেকেও মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা বিপুল সংখ্যক টাকা উদ্ধারে সাহায্য করবে বলে মনে করেন ইডির আইনজীবীরা।
বাংলাদেশ সরকারের হিসাব মতে, পি কে হালদার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। যদিও বেসরকারিভাবে এই অংক প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বলে দাবি করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) হুলিয়া এবং রেড কর্নার নোটিশ থাকার পরও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আত্মগোপন করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন পি কে হালদার, সঙ্গে গড়ে তুলেছেন বড় একটা নেটওয়ার্কও। এই নেটওয়ার্কে যেমন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন তেমনি রয়েছেন বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ থেকে আসা তার পরিচিত মহলের লোকেরা।
গোয়েন্দারা প্রথম তিন দিনের জেরায় বেশ কয়েটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনতে পেরেছেন, এর মধ্যে প্রায় দেড়শো কোটির টাকার হদিস অন্যতম। বলেছেন ভারতের অর্থ দুর্নীতি বিষয়ক তদন্তকারী সংস্থা ইডি পক্ষের আইনজীবী অভিজিৎ চক্রবর্তী।
এদিকে ভুয়া নথি ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি, ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণের অভিযোগ থাকলেও পি কে হালদারের বিরুদ্ধে শুধু মানি লন্ডারিংয়ের ধারায় মামলা হয়েছে। এমনকি অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলাও করেনি ভারতের কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা। মানি লন্ডারিং মামলা হওয়ায় হালদারকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া অনেক সহজ হবে বলেও ইডির আইনজীবীর কথায় ইঙ্গিত পাওয়া গেল।
মঙ্গলবার (১৭ মে) কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কোর্ট-এর বিচারক মাসুক হোসেন খান পি কে হালদারসহ গ্রেফতার ৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শারমিন হালদার নামের এক নারীকে ১০ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের ইডি দফতরে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্যই স্থানীয় বিধাননগর মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী ২৭ মে পিকে হালদারসহ গ্রেফতারকৃতদের আবারও আদালতে হাজির করবে ইডি।