ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আজ বুধবার (১৮ মে) আদেশ দেবেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজহারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে মেডিকেল রিপোর্ট না দেখেই কীভাবে বিচারিক আদালত স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সম্রাটকে জামিন দিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
গত ১১ মে পাসপোর্ট জমা রাখা, অসুস্থতা বিবেচনা, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে না যাওয়ার শর্ত এবং প্রতিটি ধার্য তারিখে হাজিরার তিন শর্তে দুর্নীতির মামলায় জামিন পান ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ৩২ মাস কারাগারে থাকার পর বুধবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে চারটায় কারামুক্ত হন তিনি।
গ্রেফতারের পর কিছুদিন জেলে থাকলেও অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সম্রাট। জামিনে মুক্তির আদেশও আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে।
সম্রাটের মুক্তির খবরে হাসপাতালে ভিড় করেন তার সমর্থকরা। তার সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, মুক্তি পেলেও আরও ৫ থেকে ৭ দিন হাসপাতালেই থাকবেন সম্রাট।
শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এর আগেই অস্ত্র, মাদক এবং অর্থপাচার মামলায় জামিন পান সম্রাট। মুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুদকের এক মামলা। ওই মামলাতেও একবার জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। আবারও করা হয় জামিন আবেদন। সেই মামলাতেও গত ১১ মে জামিন মেলে তার।
ক্যাসিনোবিরোধী বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হন সম্রাট। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারসহ ৪টি মামলা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এর মধ্যে দুদকের মামলায় ২১৯ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে সম্রাটের বিরুদ্ধে।