নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: ভ্যাট প্রদান ও রিটার্নিং দাখিল আধুনিকায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারের অর্থবিলে ভ্যাট আইন-২০১২ কতিপয় ধারা ও পরিধি পরিমার্জন ও সংশোধন করে আইনটিকে ব্যবহার উপযোগী ও সহজবোধ্য করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় খুশি মনে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে সহায়তা করবেন।’
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কয়েকটি দ্রব্য যেমন নিউজপ্রিন্ট, ইট, এমএস প্রোডাক্টস ও সিমকার্ড সরবরাহকারীর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ন্যূনতম ভ্যাটহারের চেয়ে অনেক কম।’
তিনি বলেন, ‘ভ্যাট অব্যাহতি কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেয়া হয়েছে। যেমন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল, পিপিপি প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে বিনিয়োগসহ কতিপয় বৃহৎ প্রকল্পে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ ও সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।’
দেশীয় ভারী শিল্পের বিকাশ ও প্রতিরক্ষণের জন্য ভ্যাট অব্যাহতি ও হ্রাস করা করহার চলমান রয়েছে। এসব শিল্পগুলো হচ্ছে মোটরসাইকেল, অটোমোবাইল, রেফ্রিজারেটর, মোবাইল ফোন, এপিআই ইত্যাদি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তবে শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবত অব্যাহতি ভোগ করা কয়েকটি পণ্যদ্রব্যের ওপর ভ্যাট বাসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজস্ব সংগ্রহ বিবেচনায় কতিপয় পণ্যে সহনীয় হারে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ বেশকিছু খাতে অব্যাহতি ও বেশকিছু দ্রব্যে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর ফলে কতিপয় দ্রব্যে কর বাড়ানোর প্রয়োজন হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি রোধ এবং ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’