অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হাইকোটের নির্দেশের দিনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম দেয়। ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামের শেষ দিনে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮৮২টি অবৈধ হাসাপাতাল, ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। অনেক হাসপাতালে রোগী ভিতরে রেখে বাইরে তালা দিয়ে মালিক পালিয়েছে। আবার অভিযানের খবর পেয়ে হাসপাতালে প্রসূতিকে ফেলে রেখে পালিয়েছে অনেক ভুয়া ডাক্তার। অভিযানকারীরা এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখেছে গত দুদিন অভিযানে গিয়ে।
গতকাল রাজধানীর মাতুয়াইল, উত্তর বাড্ডা, চানখাঁরপুল, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই অভিযান চালানো শুরু করে। রাজধানীর উত্তর বাড্ডার ঢাকা ক্রাউন মেডিকেল সেন্টার ও ডগমা হাসপাতালে অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ডগমা হাসপাতালে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল কিট পাওয়ায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা আক্তার।
অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের কোনো তালিকা ছাড়াই অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ফারহানা বলেন, তালিকা ওয়েবসাইটে আছে। কিন্তু সেগুলো হালনাগাদ না থাকায় কেবল দেখে এসেছি। আমাকে যা বলা হয়েছে আমি তাই করছি।
অন্যদিকে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুর জব্বার মণ্ডলের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয় পুরান ঢাকার চারখাঁরপুল ও চকবাজারে। এখানকার কয়েকটি অননুমোদিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়।
এর আগে গত ২৬ মে সারা দেশের অনিবন্ধিত সব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার তিন দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম ও দ্বিতীয় দিন কেবল ঢাকার বাইরে অভিযান চালানো হয়। আর আলটিমেটামের শেষ দিনে রবিবার অভিযান চালানো হয় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে অনুমোদিত ও আবেদন করা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার। ঢাকার বাইরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কাছে জেলার অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা রয়েছে। তবে রাজধানীতে এই ধরনের অনিবন্ধিত এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কত কোনো তথ্য নেই।
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। সেগুলো হলো চট্টগ্রাম কসমোপলিটন হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড, সিএসটিসি হসপিটাল, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং নিরুপনী প্যাথলজি ল্যাবরেটরি। এ ছাড়া ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড এবং পলি হসপিটালের কাগজপত্র সঠিক থাকলেও ছিল না সেবার মূল্য তালিকা। এ দুই প্রতিষ্ঠানকে মূল্য তালিকা কাউন্টারে প্রদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৪টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিবন্ধন না থাকায় উপজেলার অ্যাপোলো হাসপাতালকে ৩০ হাজার, বাঁশখালী মাতৃসদন হাসপাতালকে ২০ হাজার, মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা এবং নিউ ডেন্টাল কেয়ারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
যশোর: যশোরে একটি ক্লিনিকসহ ছয়টি অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যশোর শহরের পিস হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নূরুল ইসলাম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রোটারি হেলথ অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিএমসি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধনের কাগজপত্র পায়নি স্বাস্থ্য বিভাগের টিম। সে কারণে তাদের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ফরিদপুর: ফরিদপুরে অবৈধ ২০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানে উপজেলা সদরের বাবু মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ঢাকা ডিজিটাল ল্যাব, সানজিদা ক্লিনিক, সুমি ক্লিনিক, একতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ডায়াবেটিক সমিতি, মঈন ফেকো চক্ষু হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বোয়ালমারী উপজেলার আলনুর চক্ষু হাসপাতাল, সেতু সার্জিক্যাল, সেবা সার্জিক্যাল ক্লিনিক অ্যান্ড জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মডার্ন ল্যাবরেটরি, মীম ডায়াগনস্টিক, স্বর্না সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া মোল্লা আহম্মদ হোসেন মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কোহিনুর ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, দি ইস্টার্ন সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও আল-আমিন সার্জিক্যাল ক্লিনিককে এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল : কাগজপত্র না থাকায় ১৭টি ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এ সময় কয়েকটিকে জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান পরিচালনা করে স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, অভিযানের প্রথমদিন টাঙ্গাইল শহরে ৪টি, মধুপুর উপজেলায় ২টি, ভূঞাপুরে ২টি, মির্জাপুরে ২টি, ঘাটাইলে একটি ও গোপালপুরে ৬টি অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুআরা খাতুন বলেন, কাগজপত্র না থাকায় শহরের স্বদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পদ্মা ক্লিনিক, আমানত ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কমফোর্ট হসপিটালের মালিককে ৩০ হাজার টাকা, দি সিটি হাসপাতালের মালিককে ২০ হাজার টাকা ও ডিজিল্যাবকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নরসিংদী: নরসিংদীতে নিবন্ধন না থাকায় ৪টি ডায়াগনস্টিক ও একটি ডেন্টাল সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বন্ধ করে দেওয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো হলো নরসিংদী স্পেশালাইজড ডায়াবেটিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নরসিংদী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মৃধা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মেডিকো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও প্রফুল্ল ডেন্টাল সেন্টার।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু কাউসার সুমন বলেন, নরসিংদীর ছয়টি উপজেলায় ৪০টি অনিবন্ধিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এসব অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হবে।
বাগেরহাট : বাগেরহাটের মোংলায় অবৈধ ক্লিনিক প্যাথলজির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। এ সময় উপজেলার হাসপাতাল সড়কে ৫ টিসহ মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এই অভিযান চালান। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় হাসপাতাল সড়কে রাতুল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লিয়ান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, রাজিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং মাদরাসা রোডের রাব্বি ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক, মুনতাহা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তালুকদার আব্দুল খালেক সড়কে খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার, দিগরাজ এলাকায় খান জাহান ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় হাসপাতাল সড়ক এলাকার ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালাসহ ৫টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেন্ট্রাল মেডিক্যাল সেন্টার, আমাদের সনো এবং চুয়াডাঙ্গা আল্ট্রাসনোগ্রাফি সেন্টার সিলগালা করা হয়। এ ছাড়া ইসলামী হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক বিভাগ এবং তিশা ডায়াগনস্টিক সেন্টার মৌখিকভাবে বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নাটোর: সদর উপজেলার ৭টি অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো– শহরের মাদরাসা মোড় এলাকার পদ্মা ক্লিনিক, সেন্ট্রাল ল্যাব ও প্রাইম ডায়াগনস্টিক, চকরামপুরের হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, চকবৈদ্যনাথের মদিনা চক্ষু হাসপাতাল, হাফরাস্তার তামান্না ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এবং বড়হরিশপুরের বরাত ডায়াগনস্টিক।
হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় সেবা ডায়াগনস্টিক, অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক, হক ডায়াগনস্টিক, প্রাইম ডায়াগনস্টিক ও তিতাস শিশু জেনারেল হাসপাতাল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার যমুনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আলফা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কাজিপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সোনামুখীতে নিউ হেলথ কেয়ার ক্লিনিক ও ফারুক আল নাসির ওয়েলফেয়ার হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় নির্দেশনা অনুযায়ী যমুনা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইশ গজের বাইরে সরানোর জন্যে এক মাসের সময় দেওয়া হয়। এ সময় সোনামুখী ফারুক আল নাসির ওয়েলফেয়ার হাসপাতালটির কাগজপত্র অনুযায়ী লোকবল এবং প্যাথলজির কোনও প্রশিক্ষিত টেকনিশিয়ান না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ নির্দেশ দেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীন।
মাগুরা: অবৈধ ও অনিবন্ধিত সাতটি প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সেগুলো হচ্ছে শহরের ভায়না এলাকার রোকেয়া প্রাইভেট হাসপাতাল, একতা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম, নিরাময় প্রাইভেট হাসপাতাল, রিফাত ফার্মেসি, শাহানা মেডিক্যাল সার্ভিসেস, অরো ডেন্টাল কেয়ার, সুখী নীলগঞ্জ প্রজেক্ট।
জামালপুর: জামালপুরের অনিবন্ধিত চারটি প্রতিষ্ঠান সিলগালা ও বিভিন্ন অংকের জরিমানা করা হয়েছে। একজনকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অভিযানে সিলগালার পাশাপাশি ফরিদ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩৫ হাজার, ডা. এফ রহমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার, মর্ডান ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার এবং লাইসেন্স নবায়ন না থাকায় এবং অপরিচ্ছন্নতার কারণে নূর ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার, আশ্রাব উদ্দিন হাসপাতাল ৬ হাজার ও হাবীব মেডিক্যাল হলকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ফাহিম মেডিক্যাল হলে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকায় মালিক ফরিদ উদ্দিনকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
নোয়াখালী: জেলার ৯টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানি বাজারের মালিহা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ডায়বেটিক সেন্টার, রাজগঞ্জ বাজারের বিছমিল্লাহ্ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বাংলাবাজারের নিউ চৌধুরী প্যাথলজি ল্যাব; সোনাইমুড়ী উপজেলার আল হাবিব হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও কাশিপুরের লাইফ লাইন প্যাথলজি; সেনবাগ উপজেলার কানকিরহাটের সিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ছাতারপাইয়া বাজারের জেনুইন ডায়াগনস্টিক ল্যাব অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার; চাটখিল উপজেলার এশিয়ান ফিজিওথেরাপি সেন্টার এবং সদর উপজেলার দত্তেরহাটের নোয়াখালী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল।
রাজবাড়ী: জেলার বালিয়াকান্দিতে অভিযানে একটি ক্লিনিক, ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মোট চারটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে সিলগালা করা হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১৫ দিনের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে।
সাভার (ঢাকা): অনুমোদন না থাকায় সাভারের ধামরাইয়ে রুমা ডেন্টাল কেয়ার, আবীর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মামুন ডেন্টাল কেয়ার ও সন্ধানী এক্স-রে অ্যান্ড প্যাথলজি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
মৌলভীবাজার: জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরে অনুমোদনহীন ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সেগুলো হলো শ্রীমঙ্গল শহরের কালীঘাট সড়কের ইনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্টেশন সড়কের রেটিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আদমপুর বাজারের মৃত্তিকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
এ ছাড়া দেশের রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বহু হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।