নিজস্ব প্রতিবেদক: উচ্চ আদালত, ঢাকা জজ কোর্ট ও গাজীপুরের পর এবার জাতীয় পার্টির স্বঘোষিত চেয়ারম্যান জিএম কাদের গং দের বিরুদ্ধে বাগেরহাট সদর কোর্টে মামলা হয়েছে।
৬ ই জুন ২০২২ ইং সোমবার বাগেরহাট জেলার বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ ড. মোঃ আতিকুস সামাদ এর আদালতে স্বঘোষিত চেয়ারম্যান জিএম কাদের গং এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক স্থগিতাদেশ চেয়ে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন বাগেরহাট জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি । দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং ১৭৭/২০২২।
মামলাটি পরিচালনা করেন এড. এইচ এম জহিরুল ইসলাম প্রিন্স,এড.সোয়ায়েব হাসান, এড.সাইফুল ইসলাম,এড.মহিবুর রহমান সদর কোর্ট বাগেরহাট।
উক্ত মোকাদ্দমায় স্বঘোষিত চেয়ারম্যান জিএম কাদের ছাড়াও জাপা কেন্দ্রীয় মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, সচিব- প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে আসমী করে করা মামলা টি কোর্ট আমলে নেয়। জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাপা গঠনতন্ত্র কে বৃন্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে জাতীয় কাউন্সিল না করেই জিএম কাদের নিজেকে স্বঘোষিত চেয়ারম্যান ঘোষনা করেন। যাহা সম্পুর্ণ রুপে জাপা গঠনতন্ত্র বিরোধী। ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে গঠনতন্ত্র বিরোধী সিদ্বান্ত কে মেনে না নিতে পেরে তৃণমূল নেতৃবৃন্দের তোপের মুখে পরেন জিএম কাদের। তারই ধারাবাহিকতায় উচ্চ আদালতে জিএম কাদেরকে কেন অবৈধ চেয়ারম্যান ঘোষনা করা হইবে না এই মর্মে একটি রীট মোকাদ্দমা দায়ের হয়। যাহার রীট মোকাদ্দমা নং ১৫০৫১/১৯। জি এম কাদের উচ্চ আদালতের রীট পিটশন কে বৃদ্বাঙ্গুলী দেখিয়ে আইনের তোয়াক্কা না করে সাংগঠনিক কর্মসুচী চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান নয় বছরের সফল রাষ্ট্র নায়ক পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৈরী শক্তিশালী গঠনতন্ত্র যাহা অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এবং জিএম কাদের জাপা গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজ করায় পল্লীবন্ধু এরশাদ প্রেমী কোটি জনতার হৃদয়ে রক্ত ক্ষরন হয়েছে। সেই লক্ষে স্বঘোষিত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের জাপা সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিতাদেশ চেয়ে ঢাকা জজ কোর্ট মোকাদ্দমা নং ১২৩৮/২২, গাজীপুর জজ কোর্টে মোকাদ্দমা নং ৯৯/২০২২ দায়েরকৃত দেওয়ানি মামলায় সমন জারি কৃত আছে।
এছাড়াও সারা দেশের জেলায় জেলায় জাপা নেতা কর্মীরা জিএম কাদের গং এর বিরুদ্ধে ১০ থেকে ১২ টি মামলা এরই মধ্যে দায়ের করেছেন এবং আরোও ১০ থেকে ১২ টি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। উক্ত মামলাটি দায়ের করেন বাগেরহাট জাতীয় মহিলা পার্টির সভাপতি ।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক এই বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।