বিশ্বজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ৩৮৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে দুই শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৩ লাখ ২৭ হাজার ৯৭৫ জনে।
এ সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় চার হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ১৬ হাজার ৮৩৭ জনে।
শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে ঘটেছে। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ হাজার ৩৮৩ জন এবং মারা গেছেন ১৭১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৭১ লাখ ৬ হাজার ৮০২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩৫ হাজার ২৭৮ জন মারা গেছেন।
এদিকে, দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১১ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৭২ হাজার ৯৬৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৪ জনের।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৩ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ৮৫০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪৯ জনের।
উত্তর কোরিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৮৭০ জন। অন্যদিকে একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৪৬ জন এবং মারা গেছেন ১৮ জন।
এছাড়া কানাডায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩৩ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ২৬৩ জন। একইসময়ে ফিন্যলান্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৭ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬২ জন। থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৮৫ জন এবং মারা গেছেন ২৩ জন।