দেশের ২০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাই সে সব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বুধবার আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বর্তমানে লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের ওপর সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয়। মৌসুমী বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকাল পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে যশোর, কুষ্টিয়া ও পাবনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পাবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিলোমিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বুধবার বেলা ১১টা থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ডিমলায়, ১০২ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়, ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।