আন্তর্জাতিক ডেস্ক,সিটিজেন নিউজ:ওমান উপসাগরে দুটি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানকেই দোষারোপ করছে সৌদি আরবও। এর আগে ওই ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে দায়ী করেছে।
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, তার দেশ কোন ধরনের হুমকি মোকাবিলায় দ্বিধা করবে না। সাম্প্রতিক সময়ে ওমান সাগরে দুটি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্র দেশগুলোর মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোতেও এর প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে যেসব দেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভালো নয় তারা এই ঘটনার জন্য ইরানকে দোষী করছে এবং দেশটিকে চাপের মধ্যে রাখার চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার ওমান সাগরে ওই ট্যাঙ্কারগুলোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর মাত্র এক মাস আগে গত ১২ মে আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দরে সৌদি আরবের দুটি, আমিরাত এবং নরওয়ের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার জন্যও ইরানকে দোষী করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরান বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
প্রিন্স সালমান বলেন, আমরা এই অঞ্চলে যুদ্ধ চাই না। তবে আমাদের লোকজন, আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যে কোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় আমরা কোন ধরনের দ্বিধা করব না।
যে দুটি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে একটি ছিল জাপানের মালিকানাধীন। এ বিষয়ে প্রিন্স সালমান বলেন, তেহরানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সফরের প্রতি সম্মান দেখায়নি ইরান। তিনি সেখানে রয়েছে। অথচ জাপানের একটি তেলের ট্যাঙ্কারেও হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে পেন্টাগনের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার হামলার শিকার তেল ট্যাঙ্কার দুটির একটি থেকে অবিস্ফোরিত একটি লিমপেট মাইন সরিয়ে নিচ্ছে ইরানি একটি ছোট নৌকার ক্রু সদস্যরা। এই ভিডিও প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে যে, বৃহস্পতিবারের হামলায় জড়িত ছিল ইরান। ট্রাম্প প্রশাসনের মতে, এতেই বেশ পরিষ্কার প্রমাণ রয়েছে।
এই ঘটনাকে ইরানের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে গত মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে জাহাজে চারটি লিমপেট মাইন হামলার ঘটনার মতোই শুরু থেকেই এ ঘটনার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথাও অস্বীকার করেছে ইরান।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের ইরানি মিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ১৩ জুন দুটি তেলের ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তিহীন অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে ইরান। একই সঙ্গে তারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।