উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানের ঝড়ো ফিফটিতে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়ানো গেছে ঠিকই কিন্তু পরাজয় এড়ানো যায়নি। সেন্ট লুসিয়া টেস্টে উইন্ডিজের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ১০ উইকেটে।
প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। পরে উইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থামে ৪০৮ রানে। এতে ১৭৪ রানের লিড পায় ক্যারিবীয়রা। এই রান শোধ করে স্বাগতিকদের বড় রানের লক্ষ্য দিতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। শঙ্কা জেগেছিল ইনিংস হারের। তবে সোহানের ব্যাটে সেই শঙ্কা উড়িয়ে সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৮৬ রানে। এতে ১৩ রানের টার্গেট দাঁড়ায় ক্যারিবীয়দের সামনে।
এরপর ২.৫ ওভার ব্যাট করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় উইন্ডিজ। জয় তুলে নেয় ১০ উইকেটে। এর মধ্যে দিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল ক্যারিবীয়রা।
এর আগে, বৃষ্টি আর ভেজা উইকেটের কারণে সোমবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে খেলা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। জানানো হয়, এদিন খেলা হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩৮ ওভার। ৬ উইকেটে ১৩২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। উন্ডিজকে আবার ব্যাটিং করাতে তাদের করতে হতো আরও ৪২ রান। এমন সমীকরণ নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান আর মেহেদী হাসান মিরাজ।
সোহান ১৭ ও মেহেদী শূন্য রানে ক্যারিবিয় বোলারদের মুখোমুখি হন। তবে দিনের চতুর্থ ওভারেই মিরাজের বিদায়। আলজারি জোসেফের লেংথে পড়ে লাফিয়ে ওঠা বল খোঁচা দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন এ ডানহাতি, ব্যাটকে হালকা ছোঁয়া দিয়ে বল চলে যায় উইকেট কিপারেরর গ্লাভসে। ২০ বলে ৪ রান করে ফেরেন মিরাজ। এরপর দ্রুত বিদায় নেন এবাদত হোসেন আর শরিফুল ইসলাম।
প্রথম ইনিংসে নিজেদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা এ দুই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি। তবে অন্য প্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন সোহান। খালেদ রান আউট হলে বাংলাদেশ থামে ১৮৭ রানে, লিড পায় ১২ রানের। ৪৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন সোহান।