পদ্মা সেতু চালুর পর একের পর এক নতুন নতুন আধুনিক বাস অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বরিশাল রুটে। এত দিন এ পথে ফেরির বিড়ম্বনা থাকায় বিলাসবহুল নামিদামি বাস চলাচল করেনি। তবে এখন এ পথে বিনিয়োগ করছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা।
সেতু চালুর পর থেকে যাত্রীচাপও বেড়েছে। ঈদে পদ্মা সেতুতে যাত্রীচাপ সামাল দিতে এখনই প্রস্তুতি চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০ থেকে ৩০ মিনিট পরপর ঢাকা থেকে বিলাসবহুল বিভিন্ন পরিবহন এসে থামছে বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায়। যাত্রীদের নামিয়ে কিছুক্ষণ পর আবার যাত্রী নিয়ে ছুটছে ঢাকার পথে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় নেই তাদের ভোগান্তি আর বিড়ম্বনা।
এখন গ্রিনলাইন, ইলিশ, গ্রিন সেন্ট মার্টিন, গোল্ডেন লাইন, ইউনিক পরিবহনসহ বেশকিছু নতুন নতুন বাস চলাচল করছে বরিশাল-ঢাকা রুটে।
নিরাপদে, আরামে ঢাকা থেকে বিলাসবহুল বাসে চড়ে পদ্মা সেতু পার হয়ে বরিশাল আসতে পেরে দারুণ খুশি সাধারণ যাত্রীরা। তবে ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন অনেকের।
পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর আগে আমাদের দুটি গাড়ি চলতো লঞ্চ পারাপারে। এখন পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে আমরা ৮টি গাড়ি ছাড়ি। এ ছাড়া পদ্মা সেতু চালুর পর এখন যাত্রীর চাপও বেড়েছে।
বরিশাল গ্রিন লাইন টিকিট কাউন্টারের ম্যানেজার হাসান মাহমুদ বাদশা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর ফলে আমরা যা আশা করেছিলাম তার থেকেও আলহামদুলিল্লাহ এখন বেশি সাড়া পাচ্ছি।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ রুটে যাত্রীর চাপ বেড়েছে আগের তুলনায় কয়েকগুণ। কোরবানি ঈদে যাত্রীচাপ সামলাতে বাস বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা এমনটাই দাবি করছেন বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে।
তিনি বলেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে পদ্মা সেতু ওপর দিয়ে আমাদের আরও নতুন নতুন গাড়ি যাত্রীদের সেবায় নামাবো।
পদ্মা সেতু চালুর আগে ঢাকা বরিশাল সড়কে সরাসরি শতাধিক বাসে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করত। এখন প্রতিদিনই বাসের সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে যাত্রীও প্রতিদিন দুই থেকে তিনগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে নতুল্লাবাদ বাস মালিক সমিতি।