ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে আজ। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফল প্রকাশ করবেন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর।
এর আগে গত ৩ জুন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরে ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের জন্য নির্ধারিত এ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৯৩০টি। এর বিপরীতে ৩০ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেন।
‘গ’ ইউনিটে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে বহুনির্বাচনির অংশে ৬০ নম্বর এবং বাকি ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকে। দুই অংশের উত্তর দেওয়ার জন্য আলাদা ৪৫ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট সময় দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয় ২০ এপ্রিল, ওই কার্যক্রম চলে ১০ মে পর্যন্ত। বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়ায় খরচ বাড়ায় এবার ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি সাড়ে তিনশ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে।
পাস নম্বর ও মেধাক্রম :
ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুযায়ী ৮৪৭ জন ও কোটায় ৮৩ জন প্রার্থীকে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে। তবে বহুনির্বাচনি অংশে ইংরেজিতে ন্যূনতম ০৫ এবং সর্বমোট ২৪ নম্বর পেতে হবে। এছাড়া লিখিত অংশের ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য নম্বর ১১। তবে বহুনির্বাচনি এবং লিখিত উভয় অংশ মিলে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে।
ভর্তির উপরোক্ত শর্তসমূহ কোটাসহ সকল পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য হবে। বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে মেধাক্রমানুসারে আসন সংখ্যার ন্যূনতম ৩ গুন প্রার্থীদের লিখিত উত্তর পত্র মূল্যায়ণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এবার পাঁচটি ইউনিটে ৬ হাজার ৩৫টি আসনের জন্য দুই লাখ ৯০ হাজার ৪৮৪ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলো। এর মধ্যে ‘ক’ ইউনিটের এক হাজার ৮৫১ আসনের জন্য এক লাখ ১৫ হাজার ৭১০ জন, ‘খ’ ইউনিটের এক হাজার ৭৮৮ আসনের বিপরীতে ৫৮ হাজার ৫৫১ জন, ‘ঘ’ ইউনিটে এক হাজার ৩৩৬ আসনের জন্য ৭৮ হাজার ২৯ জন এবং ‘চ’ ইউনিটে ১৩০ আসনে ভর্তি হতে আবেদন করেছিলেন সাত হাজার ৩৫৭ জন।