গায়ানায় তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১০ বল বাকি থাকতেই ১৬৩ রান তাড়া করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ উইকেটের জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে তারা। লড়াই করার মতো স্কোর নিয়ে, শুরুতে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেও হারল বাংলাদেশ।
এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরকার্ড ছিল এমন—৮ ওভার, ৫৬ রান, ৩ উইকেট। অমন পরিস্থিতির পর আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হলো প্রথম ওভারে ৪ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া দলের সেরা বোলারকে। কারণ তিনি বাঁহাতি, ক্রিজে দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সাকিব আল হাসান এরপর বোলিংয়ে ফিরলেন ইনিংসের ১৭তম ওভারে, কাইল মায়ার্স আউট হওয়ার পর। ততক্ষণে মায়ার্স ফিরেছেন ৩৮ বলে ৫৫ রান করে, পুরানের সঙ্গে তার জুটিতে উঠেছে ৫১ বলে ৮৫ রান। মায়ার্স ফিরলেও ম্যাচ শেষ করেই ফিরেছেন পুরান। ৩৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে উইন্ডিজ অধিনায়ক মেরেছেন ৫টি করে চার ও ছয়।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান করে বাংলাদেশ।
লিটন দাসের ৪৯, আফিফ হোসেনের ৫০ রানের ইনিংসের সঙ্গে ৪৯ ও ৫৭ রানের দুই জুটিতে ১৬৩ রান করল বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লের মধ্যে ২ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে ভালো একটা ভিত গড়ে দেন লিটন ও আফিফ। লিটন গতি বদলানোর আগেই ফিরে গেছেন, এরপর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আফিফের জুটিতে ওঠে ৫৭ রান। আফিফও ফেরেন ফিফটি পূর্ণ করার সঙ্গে সঙ্গেই।
লিটন ৪৯ রান করতে খেলেছেন ৪১ বল, আফিফের গতি অবশ্য তুলনামূলক ভালো ছিল। এ বাঁহাতি ব্যাটিং করেছেন ১৩১ স্ট্রাইক রেটে। বাউন্ডারি পেলেও মাহমুদউল্লাহ ২২ রান করতেই খেলেছেন ২০ বল।শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন ৬ বলে করেছেন ১০ রান, শেষ ওভারে মারা ২ চারে।
৩ উইকেটে ১২৯ রান নিয়ে ১৭তম ওভার শুরু করা বাংলাদেশ শেষ ৪ ওভারে অবশ্য ৩৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। তবে গায়ানার উইকেটে স্পিনাররা গ্রিপ পাচ্ছেন, পেসার তাসকিন আহমেদের জায়গায় বাংলাদেশ আজ খেলাচ্ছে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে।
স্বাগতিকদের পক্ষে হেইডেন ওয়ালশ ২টি এবং ওডেন স্মিথ ও রোমারিও শেফার্ড একটি করে উইকেট নেন। অন্যটি রানআউট।
এর আগে উইন্ডিজ-বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ একাদশ: এনামুল হক, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, শরীফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।
উইন্ডিজ দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে একটি পরিবর্তন আছে। খেলছেন না কিমো পল। তার জায়গায় দলে এসেছেন ডমিনিক ড্রেকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: কাইল মায়ার্স, ব্রেন্ডন কিং, শামার ব্রুকস, নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক), রোভম্যান পাওয়েল, ডমিনিক ড্রেকস, ওডিন স্মিথ, রোমারিও শেফার্ড, আকিল হোসেন, ওবেদ ম্যাকয়, হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৩/৫ (লিটন ৪৯, এনামুল ১০, সাকিব ৫, আফিফ ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২২, সোহান ২*, মোসাদ্দেক ১০*; মেয়ার্স ০/১৪, ম্যাককয় ০/২৯, আকিল ০/৩১, স্মিথ ১/৩৪, শেফার্ড ১/১৯, ড্রেকস ০/৬, ওয়ালশ জুনিয়র ২/২৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.২ ওভারে ১৬৯/৫ (কিং ৭, মেয়ার্স ৫৫, ব্রুকস ১২, স্মিথ ২, পুরান ৭৪*, পাওয়েল ৫, আকিল ৩*; নাসুম ২/৪৪, মেহেদি ১/২১, সাকিব ১/১০, মোসাদ্দেক ০/৩৪, মুস্তাফিজ ০/২৭, শরিফুল ০/১৩, আফিফ ১/১০, মাহমুদউল্লাহ ০/৭)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২-০ তে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নিকোলাস পুরান।