বুধবার রাত ৮টার দিকে মধুপুর থানায় এ মামলা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন
তিনি জানান, কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের বাসে মঙ্গলবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। ২৪ থেকে ২৫ জন যাত্রী ছিলেন তাতে।
যাত্রীদের বরাতে ওসি বলেন, বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে রাতের খাবারের জন্য বিরতি দেয়। রাত দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহনকরা ১০ থেকে ১২ জন তরুণ ওঠেন। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ঐ তরুণরা অস্ত্রের মুখে একে একে সব যাত্রীদের বেঁধে ফেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যে সবার কাছ থেকে মোবাইল, টাকা ও গয়না লুট করে নেয়। এরপর এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে।
অভিযোগের বরাতে ওসি আরো জানান, বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে ঐ দলটি। পরে পথ বদলে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ডিবিতে বাসটি উল্টিয়ে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঈগল পরিবহনের ব্যবস্থাপক আয়নাল হোসেন থানায় আসেন। তিনি বলেন- ‘আমাদের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারদের বেঁধে রেখে যাত্রীদের কাছে যা যা ছিল সব নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
ওসি জানান, ধর্ষণের অভিযোগ করা নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।