বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থানার একটি মাঠ থেকে পিকআপটি উদ্ধার করে ডাকাতদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত ৬ আগস্ট ভোর ৪টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সালেহপুর ব্রিজ এলাকা থেকে পিকআপটি ডাকাতি করে ডাকাতরা।
গ্রেফতাররা হলেন- চাঁদপুর জেলার হাইমচর থানার দক্ষিণ আলগী গ্রামের মো. সুলতানের ছেলে মো. আলামীন (২৭), পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার কাশিপুর গ্রামের মো. আনোয়ারের ছেলে মো. বাবুল (২০), ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার বাবুরচর গ্রামের মো. জমির হোসেনের ছেলে মো. রিফাত হোসেন (১৬), ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ইসলামাবাদ এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে মো. সোহেল (২৮) ও শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ থানার মহিষকান্দি গ্রামের এরশাদ ফকিরের ছেলে মো. রাসেল (২৮)।
পুলিশ জানায়, গত ৬ আগস্ট কারওয়ান বাজার থেকে কাঁচামাল ভর্তি করে সাভারের দিকে রওনা হন চালক সজিব (২৫)। সাভারের গেন্ডা বাজারে মালামাল নামিয়ে তার বাসার দিকে যাওয়ার সময় গ্রেফতারদের একজন চালক সজিবকে দাঁড়ানোর জন্য সিগনাল দেন। সরল বিশ্বাসে গাড়ি থামালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ডাকাতরা চালককে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং মারধর করে পিকআপের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
একপর্যায়ে চালককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পিকআপটি নিয়ে হেমায়েতপুর হয়ে চলে যায় ডাকাতরা। পরে পিকআপের মালিক মোতালিব বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়েন করেন। মামলা আমলে নিয়ে আমিন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন-ওর-রশিদ অভিযান পরিচালনা করে ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
সাভার মডেল থানার এসআই হারুন অর রশিদ জানান, গ্রেফতার রিফাত, সোহেল ও রাসেল আলামিনের পরামর্শে পিকআপটি বিক্রি করার পরিকল্পনা করেন। ক্রেতার সঙ্গে তারা যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেন। ক্রেতার সূত্র ধরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরায় একটি পরিত্যক্ত মাঠে অভিযান পরিচালনা করে রিফাত, সোহেল ও রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় পিকআপটি উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রেফতার তিনজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আলামিন ও বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার রিমান্ড চেয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।